বিজ্ঞাপন
রোববার (১৬ নভেম্বর) কালিয়ার বিজ্ঞ আমলী আদালত বিচারক মারুফ হাসান মামলাটি গ্রহণ করেন। মামলার তদন্তভার দেওয়া হয়েছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)-কে। মামলা নং এমপি ১০১/২৫(কালিয়া)।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৯ অক্টোবর রবিবার সন্ধ্যা আনুমানিক সাড়ে ৬টার দিকে কালিয়া পৌরসভার রেস্ট হাউসের তৃতীয় তলায় একটি গেস্ট রুমে বাদী নির্যাতনের শিকার হন।
বাদী অভিযোগ করেছেন, ২০০৮ সালের ৬ এপ্রিল পারিবারিকভাবে অনুষ্ঠিত বিবাহে ২ লাখ টাকা দেনমোহরে তাদের বিয়ে হয়। বিবাহের সময় আসামীর চাহিদা অনুযায়ী তার পিতা পাঁচ বিঘা জমি বিক্রি করে যৌতুক হিসেবে নগদ অর্থ ও বিভিন্ন উপঢৌকন প্রদান করেন। দাম্পত্য জীবনে তাদের দুই কন্যা সন্তান জন্মগ্রহণ করে।
বাদী আরও অভিযোগ করেছেন, র্যাবে কর্মরত থাকার সময় হাসানুল কবির জেসমিন ইসলাম (জেমী) নামের এক নারীর সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন। এ বিষয়ে প্রতিবাদ করায় তাকে বিভিন্ন সময় শারীরিক ও মানসিক নির্যাতনের শিকার হতে হয়েছে। প্রায় ছয় মাস আগে প্রাইভেটকার কেনার অজুহাতে ২৫ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করেন আসামি। বাদী টাকা দিতে অস্বীকার করলে নির্যাতনের মাত্রা আরও বেড়ে যায়।
কালিয়া থানায় বদলি হওয়ার পর সন্তানদের সঙ্গে স্বামীর কাছে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও আসামি জানান, যৌতুকের ২৫ লাখ টাকা না দিলে সংসার করা সম্ভব নয়। পরিস্থিতি এ পর্যায়ে এসে বাদী আদালতের শরণাপন্ন হন।
মামলায় সাক্ষী হিসেবে বাদীর পিতা মোঃ সিদ্দিকুর রহমান, মণ্ডল শরিফুল ইসলাম সাজু, কন্যা ফারহাত তাবাচ্ছুম হিয়া এবং কালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের এক মেডিকেল কর্মকর্তা সহ আরও কয়েকজনকে উল্লেখ করা হয়েছে।
নড়াইলের কালিয়া থানার ওসি মোঃ হাসানুল কবির মুঠোফোনে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “বাদী আমার নিকট থেকে কৌশলে প্রায় কোটি টাকার সম্পত্তি লিখে নিয়েছে। তদন্ত এলে আমি জবাব দিতে প্রস্তুত। পরকিয়ার ব্যাপারে যেটা বলা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন।”
পিবিআইয়ের হাতে তদন্তভার চলে যাওয়ায় এখন আসামির বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক তদন্ত শুরু হচ্ছে।
প্রতিবেদক- মো. নূরুন্নবী সামদানী, নড়াইল।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...