বিজ্ঞাপন
ঘটনার প্রভাব নিউমার্কেট থেকে মিরপুরমুখী সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। দুপুরের দিকে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনের মিরপুর সড়কে দুইটি এক্সকাভেটর দেখা যায়। বিক্ষোভকারীরা এক্সকাভেটর ঢুকানোর চেষ্টা করলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁদের বাধা দেয়। একপর্যায়ে লাঠিপেটা ও ইটপাটকেল ছোড়ার ঘটনা ঘটে। এতে পুলিশের এক সদস্য মাথায় আঘাত পান।
পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ব্যবহার করে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গের চেষ্টা চালায়। একাধিক সাউন্ড গ্রেনেডের শব্দ শোনা যায় এবং শেষপর্যন্ত বিক্ষোভকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে যায়। বেলা পৌনে ২টার দিকে বিক্ষোভকারীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে পুনরায় জড়ো হওয়ার চেষ্টা করলে সেনাবাহিনী ও পুলিশ আবারও ছত্রভঙ্গ করে।
এর আগে একটি দল বিক্ষোভ শুরু করে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের সামনে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ঘটনাস্থলে শতাধিক সেনা ও বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য উপস্থিত হন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি অঞ্চলের এক কর্মকর্তা দুপুর ১২টার দিকে জানিয়েছেন, তাঁরা শুনেছেন ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের দিকে দুটি এক্সকাভেটর নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। ডিএমপির ধানমন্ডি অঞ্চলের অতিরিক্ত উপকমিশনার জিসানুল হক বলেন, “আমরা কোনোমতে কাউকে আইন হাতে তুলে নিতে দেব না।”
গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হিসেবে উল্লেখযোগ্য, গত ফেব্রুয়ারিতে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরের বাড়িটির অর্ধেকের বেশি অংশ ভেঙে ফেলা হয়েছিল। এছাড়া, ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট জুলাই গণ–অভ্যুত্থানের সময় শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর বাড়িটি আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।
আজ আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১–এর এজলাস থেকে গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ডসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের বিষয়ে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে। এটি এই ধরনের মামলার প্রথম রায়, যা সরাসরি সম্প্রচার করা হচ্ছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...