বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় সোমবার (১৭ নভেম্বর) মুকসুদপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন তিনি।
মঙ্গলবার দুপুরে মুকসুদপুর থানার এসআই ও তদন্তকারী কর্মকর্তা শাহাবুদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক রাসেল ফকির জানান, চাওচা গ্রামে তিনি লিজ নেওয়া ২০ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ আবাদ করছেন। তার মধ্যে এক বিঘা জমিতে পেঁয়াজের বীজতলা তৈরি করা হয়, যেখানে ২৮ কেজি বীজ এবং ৬০০ বস্তা ছাই ব্যবহার করা হয়। এ কাজে তার প্রায় ৬ লাখ টাকা ব্যয় হয়েছে। ইতোমধ্যে বীজ গজিয়ে চারা বড় হতে শুরু করেছিল এবং দুইটি পাতা বের হয়েছিল।
তিনি বলেন, “সোমবার সকাল দশটার দিকে বীজতলায় গিয়ে দেখি চারাগুলো ঢলে পড়েছে। সাধারণত পানি স্প্রে করলে অনেক সময় সুফল পাওয়া যায়। তাই পানি স্প্রে করি, কিন্তু কোনো লাভ হয়নি। আমার ধারণা, দুর্বৃত্তরা বীজতলায় বিষ প্রয়োগ করেছে। এতে আমার সর্বনাশ হয়ে গেছে। এখন এই ক্ষতি কীভাবে পুষিয়ে নেব তা বুঝতে পারছি না। আমার কারও সঙ্গে কোন শত্রুতা নেই, তারপরেও এমন ঘটনা কেন ঘটলো তা বুঝতে পারছি না।”
এ ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের দাবি জানিয়েছেন তিনি।
এ বিষয়ে বাটিকামারী ইউনিয়নের উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শাহরিয়ার তুষার বলেন, “এ ব্যাপারে আমাদের কাছে কেউ কোনো তথ্য জানায়নি। তাই বিষয়টি আমাদের জানা ছিল না। তবে চাওচা গ্রামে খোঁজখবর নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
মুকসুদপুর থানার এসআই শাহাবুদ্দিন বলেন, “ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে তদন্ত শুরু করেছি। মাঠে গিয়ে দেখি পেঁয়াজের চারা ঢলে পড়ে নষ্ট হয়ে গেছে। এগুলো আর বাঁচানো সম্ভব নয়। ধারণা করা হচ্ছে স্থানীয় কেউ এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকতে পারে। শিগগিরই প্রতিবেদন দাখিল করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...