বিজ্ঞাপন
সোমবার ফ্রান্সের ভিল্লাকুব্লে শহরের সামরিক বিমানবন্দরে ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কির মধ্যে এ বিষয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর হয়।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর এক ব্রিফিংয়ে জেলেনস্কি বলেন, “আমরা বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এবং বৃহৎ একটি এয়ার ডিফেন্স পেতে যাচ্ছি।”
এই চুক্তি এমন সময় হলো যখন ইউক্রেনের ঝাপোরিজ্জিয়া প্রদেশে রুশ ও ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে তীব্র লড়াই চলছে। ইউক্রেনীয় সামরিক বিশ্লেষক সেরহি কুজহান বিবিসিকে জানান, সাম্প্রতিক মাসগুলোতে রাশিয়া প্রতি মাসে গড়ে ৬০০ বা তারও বেশি গ্লাইড বোমা ইউক্রেনে নিক্ষেপ করছে।
তিনি আরও বলেন, “বর্তমানে আমাদের যুদ্ধবিমান এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম খুব প্রয়োজন ছিল। ফ্রান্সের কাছ থেকে পাওয়া এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের রেঞ্জ ২০০ কিলোমিটার। অর্থাৎ রকেট, বোমা কিংবা ক্ষেপণাস্ত্র ২০০ কিলোমিটারের মধ্যে এলে এটি সেগুলো ধ্বংস করতে পারবে। রাশিয়ার বর্তমান এয়ার ডিফেন্স সিস্টেমের রেঞ্জ ২৩০ কিলোমিটার।”
ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের সরকারি দপ্তর এলিসি প্রাসাদ এক বিবৃতিতে জানায়, এই চুক্তি কেবল ক্রয়-বিক্রয় নয়; বরং এটি একটি রাজনৈতিক প্রতিশ্রুতির অংশ। এর আরেকটি দিক হলো রাশিয়ার ফ্রিজ করা অর্থ ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন কর্মসূচিতে পরিকল্পিতভাবে ব্যবহার করা।
চুক্তি স্বাক্ষরের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ বলেন, “আমরা ইউক্রেনকে ১০০ রাফায়েল প্রদানের পরিকল্পনা নিয়েছি। এটা একটা বিশাল ব্যাপার। আমাদের রাফায়েল, ড্রোন, গোলাবারুদ এবং এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে আরও সংগঠিত করে তুলবে বলে আমরা মনে করি।”
বিশ্বের সর্বাধুনিক ও শক্তিশালী যুদ্ধবিমানগুলোর একটি রাফায়েল—পঞ্চম প্রজন্মের এই ফাইটার জেটের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ৩ হাজার ৭০০ কিলোমিটার এবং এটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৫০ হাজার ফুট উচ্চতায় উড়তে সক্ষম। একই সঙ্গে এটি একাধিক ধরনের ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করতে পারে এবং ভারী মেশিনগান ব্যবহারের সক্ষমতাও রয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...