বিজ্ঞাপন
বুধবার (১৯ নভেম্বর) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম টিআরটি ওয়ার্ল্ড।
ডিনার অনুষ্ঠানে ট্রাম্প বলেন, “আমরা সামরিক সহযোগিতাকে আরও উচ্চ পর্যায়ে নিয়ে যাচ্ছি। সৌদি আরবকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধান নন-ন্যাটো মিত্র হিসেবে ঘোষণা করা হচ্ছে, এটি তাদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ।”
সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র–সৌদি আরবের মধ্যে নতুন কৌশলগত প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হওয়ার পরই এই ঘোষণা আসে। সৌদি সরকারি সংবাদমাধ্যম এটিকে দুই দেশের দীর্ঘমেয়াদি প্রতিরক্ষা সহযোগিতা জোরদারের “একটি বড় পদক্ষেপ” হিসেবে উল্লেখ করেছে, যা আঞ্চলিক শান্তি, নিরাপত্তা ও সমৃদ্ধিতে যৌথ অঙ্গীকারকে প্রতিফলিত করে।
হোয়াইট হাউসের বিবৃতি অনুযায়ী, ক্রাউন প্রিন্সের ওয়াশিংটন সফরে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরব বেসামরিক পারমাণবিক শক্তি এবং প্রতিরক্ষা খাতে আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি স্বাক্ষর করেছে।
মার্কিন প্রশাসন জানায়, দুই পক্ষ বেসামরিক পারমাণবিক শক্তি নিয়ে একটি “যৌথ ঘোষণা” অনুমোদন করেছে, যা আগামী কয়েক দশক ধরে বিলিয়ন ডলারের সহযোগিতার আইনি ভিত্তি তৈরি করবে। হোয়াইট হাউস জোর দিয়ে বলেছে, এই সহযোগিতা পরমাণু অস্ত্র বিস্তার রোধের সব আন্তর্জাতিক নিয়ম মেনে বাস্তবায়ন করা হবে।
সৌদি ক্রাউন প্রিন্সের সফরকে কেন্দ্র করে প্রতিরক্ষা খাতে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতি হয়েছে। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এফ-৩৫ যুদ্ধবিমানসহ নতুন অস্ত্র বিক্রয় চুক্তিরও অনুমোদন দিয়েছেন।
আঞ্চলিক ভূরাজনীতির উত্তেজনার মাঝে যুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের এই চুক্তিগুলো মধ্যপ্রাচ্যের কৌশলগত বাস্তবতায় নতুন মাত্রা যোগ করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...