বিজ্ঞাপন
বুধবার (১৯ নভেম্বর) টিআরটি ওয়ার্ল্ডের এক প্রতিবেদনে এসব তথ্য প্রকাশ করা হয়।
সোমবার টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে প্রেসিডেন্ট মাদুরো অভিযোগ করেন, ট্রাম্পকে ঘিরে থাকা শক্তিশালী কয়েকটি মহল যুক্তরাষ্ট্রকে ভেনেজুয়েলার বিরুদ্ধে যুদ্ধের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। তার ভাষায়, এমন উসকানি ট্রাম্পকে “ধ্বংসের মুখে ঠেলে দেবে” এবং তার নেতৃত্বের “রাজনৈতিক পরিসমাপ্তি” ঘটাবে।
মাদুরো বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের ক্ষমতাধর কিছু গোষ্ঠী ভেনেজুয়েলাকে ব্যবহার করে ট্রাম্পকে ধ্বংস করতে চায়। তারা চায় সামরিক পদক্ষেপ নিয়ে ট্রাম্প তার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটি করুক। এতে তার রাজনৈতিক নাম ও নেতৃত্বের পরিণতি ভয়াবহ হবে। তাকে চাপ দেওয়া হচ্ছে, উসকানি দেওয়া হচ্ছে।”
তিনি দাবি করেন, এই উসকানি শুধু প্রকাশ্য প্রতিপক্ষদের কাছ থেকেই নয়; বরং ট্রাম্পের নিকটজনদের ভেতর থেকেও এমন প্ররোচনা আসছে। তাদের মধ্যে অনেকে “ট্রাম্প-পরবর্তী সময়” নিয়ে হিসাব করছে এবং ট্রাম্পের ক্ষতি হলে তাতে তাদের আপত্তি নেই।
তবে এসব ‘শত্রু’ কারা— তা তিনি জানেন না কিংবা জানলেও নাম প্রকাশ করবেন না বলে মন্তব্য করেন মাদুরো। তিনি পুনর্ব্যক্ত করেন, ভেনেজুয়েলা যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় প্রস্তুত এবং দেশটির অবস্থান অপরিবর্তিত— কূটনীতি ও মতৈক্যের পথেই সংকটের সমাধান দেখতে চায় তারা।
মাদুরো বলেন, বিগত ১৬ সপ্তাহ ধরে দেশটি “হুমকি, মানসিক আগ্রাসন ও নজরদারি”র মুখোমুখি রয়েছে। এ পরিস্থিতি মোকাবিলায় বলিভারিয়ান সশস্ত্র বাহিনী আরও সংগঠিত হয়েছে, মিলিশিয়া সম্প্রসারিত ও প্রশিক্ষিত হয়েছে এবং জনগণও শান্তভাবে সামরিক পরিকল্পনাকে সমর্থন দিচ্ছে।
এদিকে গত রোববার ট্রাম্প জানান, ভেনেজুয়েলার সঙ্গে “আলোচনার সম্ভাবনা আছে”, কারণ “ওরা কথা বলতে চায়”। যদিও পরে তিনি ইঙ্গিত দেন, ভেনেজুয়েলা ইস্যুতে কিছু সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে— তবে সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করেননি।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...