বিজ্ঞাপন
নিহত ইয়াসির আরাফাত শিষ যশোর শহরতলীর শেখহাটি দক্ষিণপাড়া এলাকার বাসিন্দা ও স্কুলশিক্ষক শাহাবুদ্দিনের ছেলে। তিনি যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রিজনার্স পাবলিক স্কুলের শিশু শ্রেণির ছাত্র ছিলেন।
নিহতের বড়ভাই আরাফাত সাদ জানান, সাইকেলে করে ছোট ভাইকে স্কুলে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বাবলাতলা এলাকায় একটি মালবাহী ট্রাককে সাইড দিতে গেলে তাদের সাইকেলের পেছনের চাকা রাস্তার ধারে খাদে পড়ে যায়। মুহূর্তেই শিষ ট্রাকের পেছনের চাকার তলে পড়ে পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। তবে সৌভাগ্যক্রমে সাদ বেঁচে যান। ছোট ভাইয়ের নিথর দেহ রাস্তায় রেখে তিনি বাড়িতে গিয়ে পরিবারের সদস্যদের খবর দেন। সাদ যশোর জিলা স্কুলের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র।
শিষের বাবা শাহাবুদ্দিন জানান, সকাল সাড়ে ৭টার দিকে বড় ছেলে ছোট ছেলেকে নিয়ে স্কুলের উদ্দেশ্যে বের হয়। কিছুক্ষণ পর সাদ দৌড়ে বাড়িতে এসে ছোট ভাইয়ের মৃত্যুর খবর জানায়। এরপর তারা পুলিশকে বিষয়টি জানান। খবর পেয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে শিশুটির লাশ যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
যশোর জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডাক্তার বিচিত্র মল্লিক বলেন, ট্রাকের চাকায় পিষ্ট হয়ে শিশুটির মাথাসহ শরীরের একাংশ থেঁতলে গেছে। অভিভাবকদের আবেদনের পর প্রশাসনিক অনুমোদনক্রমে লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
যশোর কোতোয়ালি থানার ওসি আবুল হাসনাত খান জানান, দুর্ঘটনার পর মালবাহী ট্রাকটি জব্দ করা হয়েছে। তবে চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছেন। অভিভাবকদের আবেদনের ভিত্তিতে লাশ ময়নাতদন্ত ছাড়াই পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...