বিজ্ঞাপন
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরার গাজা প্রতিনিধি হানি মাহমুদ জানান, গাজার দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর খান ইউনিসের আল-মাওয়াসি এলাকায় তিনটি লক্ষ্যবস্তুতে এবং গাজা সিটির পূর্বাঞ্চলীয় শুজাইয়া ও জয়তুন এলাকায় একটি করে ভবনে বোমা বর্ষণ করেছে আইডিএফ। এই হামলাগুলোর কারণেই ভয়াবহ প্রাণহানির ঘটনা ঘটে।
হানি মাহমুদ আলজাজিরাকে বলেন, “একটি ভবনে আইডিএফের বোমা আঘাতে বাবা, মা ও তিন সন্তানসহ পুরো পরিবারটি মারা গেছে। গাজার মানুষ চরম আতঙ্কের মধ্যে দিন কাটাচ্ছেন; কারণ যুদ্ধবিরতি চললেও বাস্তবে প্রতিদিনই আইডিএফের হামলায় ফিলিস্তিনি হতাহত হচ্ছেন।”
হামলার পর আইডিএফ এক বিবৃতিতে দাবি করে, বুধবার গাজায় যে লক্ষ্যবস্তুগুলোতে আঘাত হানা হয়েছে—সেগুলো হামাসের সামরিক অবকাঠামো। তাদের মতে, এই হামলা যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন নয়; বরং যুদ্ধবিরতির শর্তের আওতার মধ্যেই অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, “গাজার খান ইউনিস ও গাজা সিটিতে হামাসের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট মোট পাঁচটি লক্ষ্যবস্তুতে হামলা চালানো হয়েছে। ভবিষ্যতেও এমন হামলা অব্যাহত থাকবে। ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য যেকোনো হুমকি প্রতিহত করতে আইডিএফ প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
আইডিএফের এক কর্মকর্তা আরও জানান, “যুদ্ধবিরতির শর্ত অনুযায়ী হামাসকে নিরস্ত্র করা বাধ্যতামূলক। সেই শর্ত বাস্তবায়নের অংশ হিসেবেই এ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। তাই যুদ্ধবিরতি ভঙ্গের কোনো প্রশ্ন ওঠে না।”
অপরদিকে ইসরায়েলের দাবি প্রত্যাখ্যান করে হামাস এক বিবৃতিতে বলেছে, “আইডিএফ হামলাকে বৈধতা দেওয়ার জন্য মিথ্যা যুক্তি দেখাচ্ছে। এই হামলা স্পষ্টভাবে যুদ্ধবিরতি চুক্তির লঙ্ঘন। আমরা মনে করি, যুদ্ধাপরাধী নেতানিয়াহু আবারও গণহত্যা শুরুর চেষ্টা করছেন এবং উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উত্তেজনা বাড়াচ্ছেন। এর ফল অত্যন্ত বিপজ্জনক হতে পারে।”
উল্লেখ্য, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনায় ইসরায়েল ও হামাস উভয় পক্ষের সম্মতির পর গত ১০ অক্টোবর থেকে গাজায় আনুষ্ঠানিকভাবে যুদ্ধবিরতি চলছে। আলজাজিরার বিশ্লেষণ অনুযায়ী, এ পর্যন্ত গত ৪০ দিনে গাজায় মোট ৩৯৩ বার যুদ্ধবিরতির শর্ত ভঙ্গ করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...