বিজ্ঞাপন
গত সেপ্টেম্বরে ব্যাপক জনবিচ্ছিন্ন বিক্ষোভ ও জেন-জি আন্দোলনের কারণে পদত্যাগে বাধ্য হন নেপালের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা অলি। এরপর দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কির নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠন করা হয়। তিনি দায়িত্ব গ্রহণের সঙ্গে সঙ্গে আগামী বছরের মার্চে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের ঘোষণা দেন।
বার্তাসংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, কেপি শর্মা অলির দল সিপিএন-ইউএমএল বারা অঞ্চলে সমাবেশের আয়োজন করে। একই দিনে জেন-জি আন্দোলনকারীরাও সমাবেশের ডাক দেয়। উভয় পক্ষের সমাবেশ কেন্দ্র করে উত্তেজনা সৃষ্টি হয়, যা পরে সংঘর্ষের রূপ নেয়।
বিমানবন্দরের কাছাকাছি এ সংঘর্ষের কারণে নিরাপত্তা পরিস্থিতি খারাপের আশঙ্কা দেখা দেয়। তবে নেপাল পুলিশের মুখপাত্র আবি নারায়ণ কাফলে জানিয়েছেন, সংঘর্ষে কেউ গুরুতর আহত হয়নি।
সংঘর্ষ ও উত্তেজনার পর অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী সুশীলা কার্কি সব পক্ষকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, “অপ্রত্যাশিত রাজনৈতিক উস্কানির থেকে দূরে থেকে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার ওপর বিশ্বাস রাখতে হবে।” পাশাপাশি তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সর্বোচ্চ সংযম বজায় রেখে কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন এবং সকল রাজনৈতিক নেতা ও দলকে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, গত ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বর নেপালে ব্যাপক বিক্ষোভের সময় কেপি শর্মা অলির সরকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও রাজপথে নেমে আসে জেন-জি বিক্ষোভকারীরা। মাত্র দুই দিনের মধ্যে সরকারের পতন ঘটে এবং এই আন্দোলনে অন্তত ৭৬ জন নিহত হন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...