বিজ্ঞাপন
স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, উপজেলা সদর ও গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা ও স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানগুলোতে যাতায়াতের একমাত্র অবলম্বন হিসেবে বর্তমানে শুধুমাত্র নড়বড়ে বাঁশের সাঁকো ব্যবহার করা হয়। তবে এই সাঁকো চলাচলের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ, যে কোনো মুহূর্তে বড় ধরনের দুর্ঘটনা ঘটার আশঙ্কা রয়েছে।
ধনতলা খালের ভাঙা সেতুটি গারুরিয়া ইউনিয়নের ৮ ও ৯ নং ওয়ার্ডের মধ্যে অবস্থিত। স্থানীয়রা বলছেন, প্রায় আট বছর আগে অতিরিক্ত ওজন বহনকারী একটি ট্রাকের চাপের কারণে সেতুটি ধ্বংস হয়ে খালের পানিতে পড়ে যায়। এরপর থেকে স্থানীয়রা স্বনির্মিত বাঁশের সাঁকোর ওপর ভর করে প্রতিদিন যাতায়াত করছেন।
পাশাপাশি খালের দু’পাশের পাঁচটি গ্রামে বসবাসকারী মানুষজন প্রতিদিন উপজেলা সদর, খয়রাবাদ বাজার, খয়রাবাদ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্র, খয়রাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, সাহেবপুর মদিনাতুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসাসহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ স্থানে যাতায়াত করেন। বিশেষ করে অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে স্থানান্তর করতে স্থানীয়রা প্রায় তিন থেকে চার কিলোমিটার ঘুরে যেতে বাধ্য হচ্ছেন।
স্থানীয়রা প্রশ্ন তুলেছেন, “আর কত বছর কেটে যাবে সেতুটি নির্মাণ হবে?” তারা সতর্ক করেছেন, খালের পানিতে ভাঙা লোহার রড, ইট-পাথরের ভগ্নাংশ অগোছালোভাবে পড়ে থাকার কারণে পারাপারের সময় বৃদ্ধ, নারী ও শিশুসহ যেকোনো ব্যক্তি মারাত্মক দুর্ঘটনার শিকার হতে পারেন।
বাকেরগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে বিষয়টি জিজ্ঞাসা করলে তারা জানান, ধনতলা খালের সেতু নির্মাণের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে একটি সুপারিশ পত্র পাঠানো হয়েছে। তবে সেতুর কাজ শুরুর কোনো নির্দিষ্ট সময় এখনও জানা যায়নি।
স্থানীয়রা আশা করছেন, সরকারী পর্যায়ে দ্রুত পদক্ষেপ নিয়ে তাদের দীর্ঘদিনের দুর্ভোগ দূর করা হবে।
প্রতিবেদক- মোঃ জাহিদুল ইসলাম, বরিশাল।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...