Logo Logo

নিদারুণ অপমানে জীবন গেল সুমাইয়ার


Splash Image


বিজ্ঞাপন


বাংলা সিনেমার ট্রাজেডি হয়ে গেল সুমাইয়ার জীবন। রিফাত নামের এক ছেলের সাথে সম্পর্ক, এরপর রিফাতের বাড়ির লোকের অপমান এবং পরিশেষে ক্ষোভে অপমানে আত্মহত্যা। এভাবেই শেষ হলো সুমাইয়া (১৬) নামের এক শিক্ষার্থীর জীবন।

গত মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) রাতে শিবচর উপজেলার উমেদপুর ইউনিয়নের আলেপুর গ্রামে চাঞ্চল্যকর এই ঘটনা ঘটে। মাদারীপুর সদর হাসপাতালে লাশ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হলে কার্যক্রম শেষ করে শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকালে মরদেহটি নিহতের বাড়িতে আনা হয় এবং দুপুরে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়। নিহত সুমাইয়া আলেপুর গ্রামের আবুল হোসেনের মেয়ে।

নিহতের পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সুমাইয়ার সঙ্গে রিফাত উকিল নামের এক ছেলের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি জানাজানি হলে স্থানীয় প্রভাবশালী ইব্রাহিম মাদবর ও তার লোকজন রিফাত উকিলকে সঙ্গে নিয়ে গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সুমাইয়ার বাড়িতে আসেন। সেখানে তারা এক তরফা ভাবে সুমাইয়া ও তার পরিবারের লোকজনকে অকথ্য ভাষায় বকাবকি করেন। প্রকাশ্যে এই অপমান সইতে না পেরে সুমাইয়া মানসিকভাবে প্রচন্ড ভেঙে পড়ে। পরে ওইদিন রাতেই নিজ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ওড়না পেঁচিয়ে সে আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে নিহতের পরিবার।

নিহত সুমাইয়ার বাবা আবুল হোসেন কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘স্থানীয় প্রভাবশালী ইব্রাহিম মাদবর ও তার লোকজন নিয়ে আমাদের বাড়িতে এসে আমার মেয়েকে নানা কুরুচিপূর্ণ ও অপমানজনক কথা বলে। আমার মেয়ে সেই অপমানের যন্ত্রণা সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে। আমি আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই।’ এ বিষয়ে শিবচর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. রকিবুল ইসলাম বলেন, ‘স্কুলছাত্রী আত্মহত্যার ঘটনায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ বিষয়ে ভুক্তভোগী পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...