হোয়াইট হাউসের প্রেস সচিব ক্যারোলিন লেভিট। ছবি: রয়টার্স
বিজ্ঞাপন
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে ক্যারিবীয় সাগরে মার্কিন বাহিনী অন্তত ২০টি নৌকা ডুবিয়েছে, যার ফলে কমপক্ষে ৮০ জনের বেশি নিহত হয়েছেন। ওয়াশিংটনের দাবি, এসব হামলা মাদকবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে চালানো হচ্ছে।
মার্কিন সরকার বলছে, এই অভিযান চলমান থাকবে এবং আগামী দিনগুলোতেও জোরদার হবে। ইতিমধ্যেই মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ঘোষণা করেছেন, ‘কার্টেল দে লস সোলেস’কে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদেশি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। মার্কিন সরকারের অভিযোগ, এই নেটওয়ার্কে ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোসহ শীর্ষ সামরিক কর্মকর্তারা রয়েছেন এবং তারা যুক্তরাষ্ট্রে মাদক পাঠানোর সঙ্গে জড়িত। তবে এই অভিযোগের কোনো স্বাধীন প্রমাণ এখনও প্রকাশ করা হয়নি।
ভেনেজুয়েলা সরকার এই অভিযোগকে ‘হাস্যকর’ ও ‘অস্তিত্বহীন’ বলে উড়িয়ে দিয়েছে। ভাইস প্রেসিডেন্ট ডেলসি রদ্রিগেজ বলেছেন, মাদক বাণিজ্যের মূল রুট ইকুয়েডর হলেও রাজনৈতিক উদ্দেশ্য হাসিলের জন্য ভেনেজুয়েলাকে নিশানা বানানো হয়েছে। মাদুরোও এটিকে ‘মনস্তাত্ত্বিক যুদ্ধ’ আখ্যা দিয়ে দেশজুড়ে সতর্কতা ও সামরিক মহড়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
এদিকে, ক্যারিবীয় সাগরে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক পদক্ষেপ বাড়তে থাকায় নতুন ধাপের অভিযানের গুঞ্জন আরও জোরালো হচ্ছে। পুয়ের্তো রিকোর রুজভেল্ট রোডস ঘাঁটিতে বিমান জড়ো করা এবং সাম্প্রতিক সেনা মোতায়েন সম্ভাব্য বড় ধরনের পদক্ষেপের ইঙ্গিত দিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যদিও ‘সন্ত্রাসী সংগঠন’ হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, সামরিক পদক্ষেপের জন্য কোনও আনুষ্ঠানিক অনুমতি নেই। তবুও পেন্টাগন উল্লেখ করেছে, এই ঘোষণা নতুন সব বিকল্পের সুযোগ খুলে দিয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...