Logo Logo

জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে সজিব: ৯০ ভাগ পোড়া শরীর নিয়ে বাঁচার আকুতি, সাহায্যের আবেদন


Splash Image

ফেনীর ছাগলনাইয়ার উত্তর কুহুমা গ্রামে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। একটি মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় গ্রামের যুবক সজিব তার শরীরের ৯০ শতাংশ দগ্ধ হয়ে বর্তমানে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে রয়েছেন। ইঞ্জিনচালিত ধান মাড়াইয়ের মেশিনের গরম তেল ও পানি পড়ে এই ভয়াবহ দুর্ঘটনা ঘটে।


বিজ্ঞাপন


জানা যায়, উত্তর কুহুমা গ্রামের চৌধুরী পাটোয়ারী বাড়ির মির হোসেন বাবুর্চির ছেলে সজিব পেশায় ইঞ্জিনচালিত ধান মাড়াইয়ের মেশিন চালক। মঙ্গলবার (তারিখটি আপনার দেওয়া হয়নি, ধরে নিচ্ছি নিকট অতীতের যেকোনো মঙ্গলবার) তিনি যখন মেশিনটি চালাচ্ছিলেন, তখন হঠাৎ করেই সেটি উলটে যায়। মেশিনের ভেতরে থাকা তীব্র গরম পানি ও তেল সরাসরি সজিবের পুরো শরীরে পড়ে যায়। মুহূর্তের মধ্যে তার প্রায় ৯০ ভাগ শরীর পুড়ে যায়, যা তাকে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্তে এনে দাঁড় করিয়েছে।

প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য দ্রুত সজিবকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শরীরের ৯০ ভাগ পুড়ে যাওয়ায় সজিবের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তাকে বাঁচাতে হলে অবিলম্বে উন্নত ও বিশেষায়িত চিকিৎসার প্রয়োজন। কিন্তু উন্নত চিকিৎসা ব্যবস্থা না হলে তাকে বাঁচানো কঠিন হবে বলে চিকিৎসকরা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

উত্তর কুহুমা গ্রামের ইউপি সদস্য মাহতাব উদ্দিন মজুমদার এই হৃদয়বিদারক ঘটনাটি নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, সজিবদের পরিবার চরম অভাব-অনটনের মধ্য দিয়ে দিন পার করছে। বাবার নাম মির হোসেন বাবুর্চি। দিনমজুরি করে চলা এই পরিবারের পক্ষে এতো বড় বিপদের জন্য প্রয়োজনীয় চিকিৎসা ব্যয় বহন করা কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

মাহতাব মেম্বার গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, "সমাজের বিত্তবান ও দরদী মানুষরা যদি দ্রুত এগিয়ে না আসে, তবে সু-চিকিৎসার অভাবে সজিবকে বাঁচানো কোনোভাবেই সম্ভব হবে না।" তিনি সমাজের সকল স্তরের মানুষকে, বিশেষ করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং মানবিক হৃদয়ের অধিকারীদের যার যার অবস্থান থেকে চিকিৎসা সাহায্যে এগিয়ে আসার জন্য বিনীত অনুরোধ জানিয়েছেন।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...