বিজ্ঞাপন
গত মাসে হামাস ও দখলদার ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতি ঘোষণা সত্ত্বেও রাফার সুড়ঙ্গে প্রায় ১০০ থেকে ২০০ জন যোদ্ধা আটকা পড়েন। এর মধ্যে অনেকে সুড়ঙ্গ থেকে বের হওয়ার চেষ্টা করেন, কিন্তু ইসরায়েলি বিমান হামলায় অন্তত ২০ জন নিহত হন। হামাস এই আহ্বানের মাধ্যমে প্রথমবারের মতো তাদের যোদ্ধাদের আটকে থাকার তথ্য স্বীকার করেছে।
হামাসের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, “আমাদের যোদ্ধাদের জীবন সুরক্ষার জন্য আমরা ইসরায়েলকে দায়ী করছি। আমাদের সন্তানরা যেন নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারে, সে ব্যবস্থা করতে আমরা মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোর কাছে আহ্বান জানাচ্ছি।”
যুদ্ধবিরতির পরও রাফার প্রায় পুরো অংশ ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। সেখানে কথিত ‘হলুদ সীমারেখা’ তৈরি করা হয়েছে, যা বাস্তবে চিহ্নিত নয়। সীমারেখা অতিক্রম করলে ফিলিস্তিনিদের নির্বিচারে গুলি বা বিমান হামলায় হত্যা করা হয়।
এদিকে মধ্যস্থতাকারীরা হামাসের যোদ্ধাদের নিরাপদ প্রস্থান নিশ্চিত করার চেষ্টা চালাচ্ছিলেও, যুদ্ধাপরাধে অভিযুক্ত ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু এ প্রক্রিয়ার বিরোধিতা করেছেন। নেতানিয়াহুর দাবি, হামাসের যোদ্ধাদের ইসরায়েলকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। তবে হামাস একাধিকবার জানিয়েছে, তারা কখনোই ইসরায়েলিদের কাছে আত্মসমর্পণ করবে না।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...