Logo Logo

কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার ২ ট্যাংকার জাহাজে ইউক্রেনের নৌ-ড্রোন হামলা


Splash Image

কৃষ্ণ সাগরে রাশিয়ার দুইটি ট্যাংকার জাহাজ ধ্বংস করেছে ইউক্রেনের নৌবাহিনী। নাভাল ড্রোন ব্যবহার করে ‘কাইরোস’ ও ‘ভিরাট’ নামের জাহাজ দু’টিতে হামলা চালানো হয়। গতকাল সংঘটিত এ হামলার বিষয়টি আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম রয়টার্সকে নিশ্চিত করেছেন ইউক্রেনীয় নৌবাহিনীর একজন কর্মকর্তা।


বিজ্ঞাপন


ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা জানান, রাশিয়া তাদের যুদ্ধ কার্যক্রম চালাতে জ্বালানি তেল রপ্তানির ওপর নির্ভর করছে। এ কারণেই দীর্ঘদিন ধরে রাশিয়ার জ্বালানি ব্যবসা ও সংশ্লিষ্ট অবকাঠামো লক্ষ্য করে অভিযান পরিচালনা করে আসছে ইউক্রেনীয় বাহিনী। এর ধারাবাহিকতায় বিস্ফোরকবাহী চালকবিহীন নৌযান—নাভাল ড্রোন দিয়ে কাইরোস ও ভিরাটকে টার্গেট করা হয়েছে।

হামলার সময় জাহাজ দুটি খালি থাকলেও তেল বোঝাইয়ের উদ্দেশ্যে কৃষ্ণ সাগরের তীরবর্তী শহর নভারোরাসিয়াস্কের দিকে যাচ্ছিল। যাত্রাপথেই ড্রোন আক্রমণে গুরুতর ক্ষতিগ্রস্ত হয় দুটি ট্যাংকার। নৌবাহিনীর ওই কর্মকর্তা বলেছেন, হামলার ভিডিও বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে—ড্রোনের আঘাতে জাহাজ দু’টি সম্পূর্ণভাবে অচল হয়ে গেছে এবং চলাচলের অনুপযোগী অবস্থায় রয়েছে। তাঁর দাবি, এই হামলার মাধ্যমে রাশিয়ার তেল বাণিজ্য ও তেল পরিবহন ব্যবস্থায় বড় ধরনের ধাক্কা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।

উল্লেখ্য, কাইরোস ও ভিরাট উভয়ই যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের নিষেধাজ্ঞার তালিকাভুক্ত জাহাজ।

ড্রোন হামলার পরপরই জাহাজ দুটির নাবিকদের উদ্ধার করে নিরাপদে সরিয়ে নিয়েছে তুরস্কের কোস্টগার্ড। তুরস্কের পরিবহন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, এ ধরনের আক্রমণ কৃষ্ণ সাগরের বাণিজ্যিক নৌপথে নতুন ঝুঁকি তৈরি করেছে। একইসঙ্গে তুরস্ক উদ্বেগ প্রকাশ করেছে আঞ্চলিক নৌ-নিরাপত্তা নিয়ে।

অন্যদিকে, রাশিয়ার প্রতিবেশী দেশ কাজাখস্তান ঘটনাটির নিন্দা জানিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত রাশিয়ার পক্ষ থেকে কোনো মন্তব্য বা প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...