বিজ্ঞাপন
মন্ত্রণালয়ের হিসেবে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত অন্তত ৭০ হাজার ১০০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৭০ হাজার ৯০০–এর বেশি মানুষ। নিহতদের মধ্যে শিশু, নারীসহ বিপুল সংখ্যক বেসামরিক নাগরিক রয়েছে।
দক্ষিণ গাজার খান ইউনিসের পূর্বে বনি সুহেইলা এলাকায় ড্রোন হামলায় দুই ফিলিস্তিনি শিশু নিহত হয়েছে বলে জানান চিকিৎসকেরা। প্রত্যক্ষদর্শীরা আল–জাজিরাকে বলেন, সকালে আল–ফারাবি স্কুলের কাছে বেসামরিক মানুষের একটি দলের ওপর ড্রোন থেকে বোমা নিক্ষেপ করা হলে জুমা ও ফাদি তামার আবু আসসি নামের দুই ভাই ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারায়।
এ ছাড়া গতকালও গাজার বিভিন্ন স্থানে ইসরায়েলি বাহিনীর স্থল, নৌ ও বিমান হামলা অব্যাহত ছিল। খান ইউনিসের উত্তর–পূর্বে আল–কারারা শহরে বিমান হামলায় তিনজন আহত হয়েছেন। গাজার পূর্বাঞ্চলীয় তুফাহ এলাকা এবং দক্ষিণাঞ্চলের রাফা শহরের পূর্বেও হামলার খবর পাওয়া গেছে। হাসপাতাল সূত্র বলছে, এর আগের দিন ইয়েলো লাইনের বাইরে বনি সুহেইলায় ড্রোন হামলায় আরও একজন ফিলিস্তিনি নিহত হয়।
গাজার সরকারি গণমাধ্যম অফিসের পরিচালক ইসমাইল আল–থাওয়াবতা জানান, যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার পরও ইসরায়েল কমপক্ষে ৫৩৫ বার যুদ্ধবিরতি লঙ্ঘন করেছে। তার ভাষায়, “গাজায় মানবিক পরিস্থিতি নজিরবিহীনভাবে অবনতি ঘটছে। ইসরায়েলি আগ্রাসনের কারণে অবকাঠামো ও প্রয়োজনীয় সেবাগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে।”
মানবিক সংস্থাগুলো বলছে, আন্তর্জাতিক বিরতি কার্যকর থাকলেও টানা হামলার কারণে পরিস্থিতি আরও ঘনীভূত হচ্ছে এবং মানবিক সংকট দ্রুত ভয়াবহ রূপ নিচ্ছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...