বিএনপি নেতা ফজলুর রহমান । ফাইল ছবি
বিজ্ঞাপন
রোববার (৩০ নভেম্বর) দুপুরে ট্রাইব্যুনাল-১-এর চেয়ারম্যান বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন দুই সদস্যের বিচারিক প্যানেল এ আদেশ দেন। অন্য সদস্য ছিলেন অবসরপ্রাপ্ত জেলা ও দায়রা জজ মো. মোহিতুল হক এনাম চৌধুরী।
ট্রাইব্যুনালে প্রসিকিউশনের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম। সঙ্গে ছিলেন প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।
এর আগে, গত ২৬ নভেম্বর ফজলুর রহমানের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ২৩ নভেম্বর ফজলুর রহমান বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল টোয়েন্টিফোরের ‘মুক্তবাক: রাজনীতির তর্ক-বিতর্ক’ শীর্ষক টকশোতে অতিথি ছিলেন। টকশোর এক পর্যায়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও ক্ষমতাচ্যুত নেতা শেখ হাসিনার রায় প্রসঙ্গে তিনি নানা মন্তব্য করেন।
প্রসিকিউশন ইতোমধ্যেই ৪৯ মিনিটের টকশোটি পেনড্রাইভের মাধ্যমে ট্রাইব্যুনালে জমা দিয়েছে। ট্রাইব্যুনালেও ভিডিওর কিছু অংশ বাজিয়ে শোনানো হয়। ভিডিওতে ফজলুর রহমান বলেন, “আমি প্রথম দিন থেকেই বলছি, এই কোর্ট মানি না। আমার ইউটিউব চ্যানেল এবং টকশোতে বলেছি, যদি না বলে থাকি এখন বললে আমার ভুল, আমি মাফ চাইবো। প্রতিদিন বলছি, এই বিচার আমি মানি না। এই ট্রাইব্যুনালে শেখ হাসিনার বিচার হতে পারে না।”
ফজলুর রহমান আরও দাবি করেন, ট্রাইব্যুনাল “শিবির সমর্থিত” এবং ১৯৭১ সালের রাজাকারদের বিচার করার জন্য গঠিত হয়েছিল। প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম জানান, ফজলুর রহমান ট্রাইব্যুনাল আইন সম্পর্কে জ্ঞান না থাকার কারণে এই মন্তব্য করেছেন। এছাড়া ট্রাইব্যুনাল জানতে চায়, ফজলুর রহমানের আর কোনো রাজনৈতিক বা সাংগঠনিক পরিচয় আছে কি না। পরে জানা যায়, তিনি বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এবং আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি প্রার্থী।
ট্রাইব্যুনাল জানায়, ট্রাইব্যুনাল আইন ১৯৭৩ সালে প্রণীত হয়েছিল এবং এই আইন অনুযায়ী ১৯৭৩ সালের আগে ও পরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার করা সম্ভব। প্রসিকিউশন ট্রাইব্যুনালের অবিচ্ছেদ্য অংশ।
ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনার পর ট্রাইব্যুনাল বিষয়টিকে গুরুতর মন্তব্য হিসেবে গ্রহণ করে এবং চেয়ারম্যানের নেতৃত্বাধীন বিচারিক প্যানেল ফজলুর রহমানের ব্যাখ্যা শোনার জন্য আজকের দিন ধার্য করেন। তার সশরীরে হাজিরার তারিখ নির্ধারণ করা হয় আগামী ৮ ডিসেম্বর।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...