Logo Logo

ইমরান খানের শারীরিক অবস্থা নিয়ে উদ্বিগ্ন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর


Splash Image

ছবি: ভোরের বাণী কোলাজ।

ভারতের প্রধান বিরোধী দল কংগ্রেসের জ্যেষ্ঠ নেতা ও সংসদ সদস্য শশী থারুর পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং বর্তমানে কারাবন্দি নেতা ইমরান খানের শারীরিক অবস্থাকে কেন্দ্র করে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বিশেষ করে ইসলামাবাদের এই ইস্যুতে নিশ্চুপ থাকার বিষয়টিকে উদ্বেগজনক বলে মন্তব্য করেছেন।


বিজ্ঞাপন


গত শুক্রবার (২৮ নভেম্বর) এএনআইকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শশী থারুর বলেন, “যদিও অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে নাক গলানো উচিত নয়, তবে ইমরান খানের বর্তমান পরিস্থিতি কিছুটা হলেও উদ্বেগজনক। প্রধান কারণ হচ্ছে পাকিস্তানের সরকারের নীরবতা। এ কারণে নানা গুজব ও শঙ্কা তৈরি হচ্ছে এবং জনগণের উদ্বেগও বৃদ্ধি পাচ্ছে। কেউ কেউ আশঙ্কা করছেন যে সবচেয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটতে পারে—যা হলো কারাগারে ইমরান খানের মৃত্যু। তারপরও সরকার এ বিষয়ে স্পষ্ট কোনো তথ্য দিচ্ছে না। এই ধরনের নীরবতা অবশ্যই খারাপ।”

ইমরান খানের ছোট ছেলে কাসিম খান সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করে পিতার বর্তমান অবস্থার বিষয়ে তথ্য চেয়েছেন। শশী থারুর সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গ উল্লেখ করে বলেন, “আপনারা নিশ্চয়ই তার ছেলের বার্তা দেখেছেন। কাসিম দাবি করেছেন, তার বাবা জীবিত থাকার প্রমাণ দেখাতে হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত তেমন কোনো প্রমাণ সামনে আসে নি। এটি অবশ্যই উদ্বেগের বিষয়।”

তিনি আরও বলেন, “আমি ভারতীয় একজন সাধারণ নাগরিক হিসেবে এসব কথা বলছি। এটা আমাদের কূটনীতি নয়, সম্পূর্ণভাবে পাকিস্তানের অভ্যন্তরীণ বিষয়। আমি যা বলছি—এটি মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে। ইমরান খান একজন ভদ্রলোক, একজন ক্রিকেট কিংবদন্তী এবং বিশ্বজুড়ে তার ভক্ত-অনুরাগী ছড়িয়ে আছে। আরেকটি বিষয় হলো, কেউ কারাগারে পাঠানো বা গুম করা যায় না। তাই আমার মতে, ইমরান খানের সর্বশেষ পরিস্থিতি ইসলামাবাদকে অবশ্যই স্পষ্টভাবে জানানো উচিত।”

উল্লেখ্য, কিংবদন্তী ক্রিকেটার ইমরান খান ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচনে সেনাবাহিনীর সমর্থনে ক্ষমতায় আসেন। তবে গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআইয়ের শীর্ষ পদে কে আরোহন করবে তা নিয়ে সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘাতের কারণে তিনি রাজনৈতিক সংকটে পড়েন। ২০২২ সালে পার্লামেন্টে অনাস্থাভোটের মাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি।

ক্ষমতা হারানোর পরপরই একের পর এক মামলা দায়ের হতে থাকে ইমরান খানের বিরুদ্ধে। সেসব মামলায় দণ্ডপ্রাপ্ত আসামী হিসেবে ২০২৩ সাল থেকে পাকিস্তানের আদিয়ালা কারাগারে তিনি আটক রয়েছেন।

সম্প্রতি কাসিম খান সামাজিক মাধ্যমে পোস্ট করে বলেছেন, “আমি স্পষ্টভাবে বলছি— বাবার নিরাপত্তাহীনতা এবং যে অমানবিক বিচ্ছিন্ন পরিবেশে তাকে রাখা হয়েছে, তার আইনগত, আদর্শগত এবং আন্তর্জাতিক দায়িত্ব সম্পূর্ণভাবে পাকিস্তানের সরকারকে নিতে হবে।” কাসিম ইমরান খানের প্রথম স্ত্রী জেমিমা গোল্ডস্মিথের কনিষ্ঠ সন্তান। তাদের অপর সন্তানের নাম সুলাইমান ইসা খান।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...