বিজ্ঞাপন
তবে ইউক্রেন এই দাবিকে সরাসরি অস্বীকার করেছে। কিয়েভ বলছে, যুদ্ধবিরতি ও শান্তি আলোচনা সামনে রেখে রাশিয়া ইচ্ছাকৃতভাবে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়িয়ে দিচ্ছে।
গত কয়েক সপ্তাহ ধরে শহরটিকে ঘিরে তীব্র লড়াই চলছিল, যেখানে উভয় পক্ষেরই বিপুল সংখ্যক সেনা হতাহত হয়েছে। সড়ক ও রেলসংযোগের কারণে পোকরোভস্ককে ইউক্রেনের একটি গুরুত্বপূর্ণ লজিস্টিক হাব হিসেবে বিবেচনা করা হতো।
যুদ্ধ বন্ধের উপায় খুঁজতে গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় মার্কিন ও ইউক্রেনীয় শীর্ষ কর্মকর্তাদের বৈঠক শেষে কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই মস্কো শহর দখলের খবর প্রকাশ করে।
ইউক্রেনের অপতথ্য প্রতিরোধ কেন্দ্রের প্রধান আন্দ্রি কোভালেঙ্কো বলেন, “যুদ্ধক্ষেত্রে মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব ফেলতে রাশিয়া আগামী কয়েক সপ্তাহ এমন তথ্য ছড়াবে।” তার দাবি, পশ্চিমা সমর্থন দুর্বল করা এবং আলোচায় চাপ সৃষ্টি করতেই এমন প্রচারণা চালানো হচ্ছে।
অন্যদিকে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী সোমবার সকালে জানায়, প্রতিকূলতা সত্ত্বেও তাদের সেনারা পোকরোভস্ক ও আশপাশের অঞ্চল ধরে রেখেছে এবং রুশ বাহিনীকে প্রতিহত করছে।
এরই মধ্যে রোববার যুদ্ধক্ষেত্র পরিদর্শনে যান রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। সেখানে সেনাপ্রধান ভেলারি গেরাসিমোভ তাকে শহরটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার তথ্য দেন বলে দাবি মস্কোর। প্রেসিডেন্টের দপ্তর থেকে প্রকাশিত ভিডিওতে পোকরোভস্কের সিটি সেন্টারে রুশ সেনাদের পতাকা উত্তোলনের দৃশ্য দেখা গেছে, যা সিএনএনও নিশ্চিত করেছে।
তবে রাশিয়ার ধারাবাহিক ড্রোন হামলায় পোকরোভস্কের সড়ক ও রেলপথ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায়, ইউক্রেন ইতোমধ্যে রসদ সরবরাহের জন্য বিকল্প রুট ব্যবহার করছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
সর্বশেষ
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...