বিজ্ঞাপন
বাজেট সংকটের অজুহাতে দীর্ঘ চার মাসেরও বেশি সময় ধরে বন্ধ থাকা অনুষ্ঠানগুলো অবিলম্বে চালুর দাবিতে মানববন্ধন ও স্মারকলিপি প্রদান করেছেন বাংলাদেশ বেতার খুলনার তালিকাভুক্ত শিল্পীরা।
‘খুলনা বেতার শিল্পী সারথী’র ব্যানারে বৃহস্পতিবার (১১ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় খুলনা বেতার কেন্দ্রের প্রধান ফটকের সামনে এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় শিল্পীরা অভিযোগ করেন, গত ৫ আগস্টের রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে কোনো কারণ ছাড়াই তাদের অনুষ্ঠান বন্ধ রাখা হয়েছে, ফলে হাজারো শিল্পী ও কলাকুশলী চরম আর্থিক সংকটে দিনাতিপাত করছেন।
মানববন্ধনে বক্তারা ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত ৫ আগস্ট বেতারের স্থাপনায় হামলা বা ধ্বংসযজ্ঞে খুলনার সাধারণ শিল্পীদের কোনো সম্পৃক্ততা ছিল না। অথচ এর সবচেয়ে বড় ভুক্তভোগী হচ্ছেন তারাই। বর্তমানে কেন্দ্রটির দুটি স্টুডিও সচল থাকলেও শুধুমাত্র ‘টাকার অভাব’ দেখিয়ে কর্তৃপক্ষ শিল্পীদের কোনো অনুষ্ঠান বরাদ্দ দিচ্ছে না। ফলে এই কেন্দ্রের ওপর নির্ভরশীল প্রায় তিন হাজারেরও অধিক শিল্পী ও কলাকুশলী এখন বেকার হয়ে পড়েছেন। খুলনায় কোনো পূর্ণাঙ্গ টিভি সেন্টার না থাকায় সংস্কৃতি চর্চার একমাত্র মাধ্যম এই বেতার কেন্দ্রটি স্থবির হয়ে পড়ায় স্থানীয় সংস্কৃতি অঙ্গনেও নেমে এসেছে বাধার প্রাচীর।
সংগঠনটির আহ্বায়ক ও বেতার শিল্পী জাহিরুল ইসলাম জাকির সভাপতিত্বে এবং সদস্য সচিব এস এম ইকবাল হাসান তুহিনের সঞ্চালনায় মানববন্ধনে শিল্পীরা ৭ দফা দাবি উত্থাপন করেন। তাদের প্রধান দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে—ঢাকা সদর দপ্তর কর্তৃক খুলনা কেন্দ্রের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থ কর্তন না করে অবিলম্বে ফেরত দেওয়া, জীবনযাত্রার মানের সাথে সামঞ্জস্য রেখে শিল্পীদের সম্মানজনক সম্মানী নির্ধারণ করা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সময়েও নিয়মিত অনুষ্ঠান চালু রাখা।
বক্তারা আরও বলেন, “আমরা শুনেছি বেতারকে নতুন আঙ্গিকে সাজানো হবে, যাকে আমরা সাধুবাদ জানাই। কিন্তু সংস্কার একটি দীর্ঘমেয়াদী প্রক্রিয়া। এই দীর্ঘ সময় অনুষ্ঠান বন্ধ থাকলে শিল্পীরা না খেয়ে মারা যাবেন। তাই অবিলম্বে প্রয়োজনীয় অর্থ বরাদ্দ দিয়ে অনুষ্ঠান চালু করতে হবে।” মানববন্ধন শেষে শিল্পীরা বেতার কর্তৃপক্ষের কাছে তাদের দাবি সম্বলিত একটি স্মারকলিপি পেশ করেন।
- সন্জীব দত্ত সন্জু, বিশেষ প্রতিনিধি, খুলনা।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...