বিজ্ঞাপন
শুক্রবার ভোরে ঢাকার কেরানীগঞ্জ থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে করে মরদেহ সাংগর গ্রামের বাবার বাড়িতে পৌঁছে দ্রুত সটকে পড়েন স্বামী আরিফ, যা এলাকাবাসীর মধ্যে আরো সন্দেহ তৈরি করেছে। প্রায় আট বছর আগে পারিবারিকভাবে রেহেনার সঙ্গে আরিফের বিয়ে হয় এবং তাদের নাবিলা ইসলাম জান্নাত নামে চার বছরের এক কন্যা সন্তান রয়েছে। আরিফ ঢাকায় নিরাপত্তা প্রহরীর চাকরি করতেন এবং গত আট মাস ধরে স্ত্রী-সন্তানসহ কেরানীগঞ্জে বসবাস করছিলেন।
পরিবার জানায়, আরিফের পরকীয়ার কারণে রেহেনার সংসারে অশান্তি ছিল দীর্ঘদিন ধরে এবং প্রায়ই তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হতো। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রেহেনার অসুস্থতার খবর পেয়ে তার মামা শাহিন আকন ঢাকায় গিয়ে বাসায় রেহেনাকে মৃত অবস্থায় দেখতে পান এবং শরীরে আঘাতের চিহ্ন দেখে বিষয়টি সন্দেহজনক বলে মন্তব্য করেন। শুক্রবার মরদেহ গ্রামে পৌঁছানোর পরও গলা, হাত ও পিঠে নির্যাতনের স্পষ্ট দাগ দেখে পরিবার অভিযোগ করে যে রেহেনাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে এবং পরে অসুস্থতার নাটক সাজিয়ে ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে।
রাজাপুর থানার ওসি মো. নজরুল ইসলাম জানান, ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত করেছে এবং মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য ঝালকাঠি সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিবেদন পাওয়ার পর মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। এখনো কাউকে আটক না করা হলেও রহস্যজনক এই মৃত্যু নিয়ে এলাকায় শোক ও ক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...