বিজ্ঞাপন
গাজীপুরের শ্রীপুরে গাজারি বাগান থেকে উদ্ধার হওয়া সুমা আক্তার (২৫) হত্যার রহস্য ২৪ ঘন্টার মধ্যেই উদ্ঘাটন করেছে গাজীপুর জেলা পুলিশ। পুলিশ সুপার মোঃ শরিফ উদ্দীনের সার্বিক নির্দেশনায়, কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপারের তদারকিতে এবং শ্রীপুর থানা পুলিশের চৌকস টিম দ্রুত এ মামলার সমাধান করে।
গত ১০ ডিসেম্বর বিকাল ৫টা ৪০ মিনিটে শ্রীপুর উপজেলার গোসিংগা ইউনিয়নের পাচুলটিয়া এলাকার গুপ্তবাইদ গাজারি বাগানে বুলু সরকারের আবাদি জমিতে অজ্ঞাত এক নারীর লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। লাশের মাথায় রক্তাক্ত জখম, মুখমণ্ডলে আগুনে পোড়া দাগ, গলায় উড়না পেঁচানো এবং দেহে আঘাতের অসংখ্য চিহ্ন ছিল। ডান পায়ের মাংস নিখোঁজ অবস্থায় শুধু হাড় পাওয়া যায়।
পিবিআইয়ের ফিঙ্গারপ্রিন্ট টিম ভিকটিমের পরিচয় শনাক্ত করে সুমা আক্তার (২৫) হিসেবে। তিনি নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থানার কচুয়ারচর গ্রামের মৃত বাবুল মিয়ার মেয়ে। পরে তার মা মমতা বেগম (৭০) শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করেন।
জানা যায়, ৭–৮ বছর আগে প্রথম স্বামীর সাথে বিচ্ছেদ এবং দ্বিতীয় স্বামীর সাথে বনিবনা না হওয়ায় সুমা দীর্ঘদিন আলাদা থাকতেন। দুই কন্যাসন্তান মায়ের কাছে থাকে। তিন মাস ধরে তিনি শ্রীপুরের বৈরাগীরচালা এলাকার ‘ঢাকা গার্মেন্টস’ এ চাকরি করতেন এবং কেওয়া এলাকার একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন।
পুলিশ তদন্ত শুরু করে দ্রুতই সন্দেহভাজন মোঃ রাসেলকে (২৪) শনাক্ত করে গ্রেফতার করে। তার দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে ভিকটিমের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটিও উদ্ধার করা হয়।
জিজ্ঞাসাবাদে রাসেল জানায়, একই গার্মেন্টসে চাকরি করতে গিয়ে তাদের পরিচয় ও প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সুমা বিয়ের চাপ দিলে রাসেল এড়িয়ে যেতে থাকে। গত ৭ ডিসেম্বর রাত ৮টা ৩০ মিনিটে সুমাকে নিয়ে ওই বাগানে যায়। সেখানে বিয়ে নিয়ে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে রাসেল সুমাকে মারধর করে এবং উড়না পেঁচিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। পরে লাশ গাজারি বাগানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।
গাজীপুর জেলা পুলিশ জানায়, অল্প সময়ের মধ্যে আধুনিক প্রযুক্তি ও মাঠ পর্যায়ের তথ্য বিশ্লেষণ করে তারা হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদঘাটন করতে সক্ষম হয়েছে। মামলার পরবর্তী আইনানুগ কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...