বিজ্ঞাপন
শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে গকসুর সহসভাপতি ইয়াসিন আল মৃদুল দেওয়ান ও সাধারণ সম্পাদক মো. রায়হান খান স্বাক্ষরিত এক যৌথ বিবৃতিতে এ নিন্দা ও দ্রুত বিচার দাবি জানানো হয়।
নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার মাত্র আট ঘণ্টার মাথায় ঘটে যাওয়া এ হামলাকে তারা "পরিকল্পিত হত্যাচেষ্টা" বলে উল্লেখ করেছে।
বিবৃতিতে গকসু জানায়, “নির্বাচনী তফসিল ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই এই ন্যক্কারজনক ঘটনা ঘটেছে। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি—পরিকল্পিতভাবে ওসমান হাদিকে হত্যা করার উদ্দেশ্যেই হামলা চালানো হয়েছে। ফ্যাসিবাদের দোসর ও ভারতীয় আগ্রাসনের মদদপুষ্ট সন্ত্রাসীরা এ ঘটনার পেছনে রয়েছে। একই সঙ্গে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও অভ্যুত্থান-সমর্থিত শক্তিগুলোর নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে।”
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, “জুলাইয়ের সম্মুখযোদ্ধা ওসমান হাদি সবসময়ই আওয়ামী ফ্যাসিবাদ ও ভারতীয় আগ্রাসনের বিরুদ্ধে বলিষ্ঠ কণ্ঠস্বর ছিলেন। হত্যার ভয় দেখিয়ে জুলাই প্রজন্মকে দমিয়ে রাখা যাবে না। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে হামলাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তার করতে হবে। সন্ত্রাসীদের পেছনে কার ইন্ধন রয়েছে তা জনসমক্ষে প্রকাশ না করা হলে ছাত্রজনতাকে সঙ্গে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে নামা হবে।”
উল্লেখ্য, ওসমান হাদি বর্তমানে এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. মোস্তাক আহমেদ জানান, গুলি হাদির ডান দিক দিয়ে ঢুকে বাম কানের পাশে বের হয়েছে। গুলির কিছু খণ্ড ব্রেনে থেকে যেতে পারে, যা গুরুতর উদ্বেগের বিষয়।
প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় মোটরসাইকেলযোগে আসা দুই দুর্বৃত্ত হাদিকে গুলি করে আহত করে। তাকে উদ্ধার করে প্রথমে ঢামেকে নেওয়া হয়। সিআইডি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, হামলায় ৭.৬৫ ক্যালিবারের গুলি ব্যবহার করা হয়েছে।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...