বিজ্ঞাপন
দিবসটি উপলক্ষে সকাল ৯:০০ ঘটিকায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের অস্থায়ী অ্যাকাডেমিক ভবন-২ হতে শুরু হয়ে একটি বর্ণাঢ্য বিজয় র্যালি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ গিয়ে শেষ হয়।
এরপর অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ জাতীয় সংগীতের সাথে সাথে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া।
জাতীয় পতাকা উত্তোলনের পর অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এ স্থাপিত শহিদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। অতঃপর মহান মুক্তিযুদ্ধের শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
এসময় এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া মহান মুক্তিযুদ্ধে আত্মদানকারী সকল বীর শহীদ ও বীর মুক্তিযোদ্ধাদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন। তিনি বলেন, "প্রথমে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি যাদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে আমরা স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ পেয়েছি। বিজয় দিবস আমাদের অহংকারের দিন, গৌরবের দিন, ঐতিহ্যের দিন, ইতিহাসে স্থান করে নেওয়ার দিন। এই দিনটির পেছনে যাদের অবদান রয়েছে, আত্মত্যাগ রয়েছে তাদের যেন আমরা ভুলে না যাই।"
তিনি ১৯৭১ সালের ঐক্যের গুরুত্ব তুলে ধরে আরও বলেন, "সময় সময় নানাভাবে আমাদের প্রেক্ষিত পরিবর্তন হয়, সেই প্রেক্ষিত থেকে উত্তরণের জন্য আমাদের ঐক্য প্রয়োজন হয়। যে ঐক্য আমরা ১৯৭১ সালে দেখিয়েছিলাম- জাতি, ধর্ম-বর্ণ ছাত্র-জনতা, শিক্ষক, সাংবাদিক বুদ্ধিজীবীসহ নির্বিশেষে আমরা একতার মাধ্যমে এই দেশকে স্বাধীন করেছিলাম। নানা কারণে সেই ঐক্য ভূলুণ্ঠিত হয় বলে ভুঁইফোর স্বার্থবাদী জাগ্রত হয়। এইজন্য ফ্যাসিস্টের বিতাড়ণের প্রয়োজন পরে, ছাত্র-জনতা আবার আন্দোলনে নামে, ইতিহাস গড়ে।"
মাননীয় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর মহোদয় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, প্রক্টোরিয়াল বডির সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীগণকে মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা ও ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন।
দিনব্যাপী কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্বে আজ বিকাল ৩:০০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ এর প্রাঙ্গণে মাননীয় প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. সুমন কান্তি বড়ুয়া-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হবে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...