Logo Logo

গোবিপ্রবি’তে নানা আয়োজনে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত


Splash Image

গোপালগঞ্জ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (গোবিপ্রবি) নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে মহান বিজয় দিবস-২০২৫ উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার আলোচনা সভা, শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন ও বিজয় র‌্যালির আয়োজন করা হয়।


বিজ্ঞাপন


এদিন সূর্যোদয়ের সাথে সাথে প্রশাসন ভবন চত্বরে জাতীয় ও বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা উত্তোলন করা হয়। সকাল ৯টায় গোপালগঞ্জ শহরের স্টেডিয়াম সংলগ্ন শহিদ স্মৃতিস্তম্ভে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান ও ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন করেন।

বিজয় উদযাপনের অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ৯টায় ক্যাম্পাসে বিজয় র‌্যালি অনুষ্ঠিত হয়। র‌্যালিটি প্রশাসন ভবন চত্বর থেকে শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে।

র‌্যালি শেষে সকাল ১০টায় একাডেমিক ভবনের ৫০১ নং কক্ষে আলোচনা সভা আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. হোসেন উদ্দিন শেখর বলেন, বাঙালি জাতির যতো অর্জন রয়েছে, তার মধ্যে শ্রেষ্ঠতম হলো আমাদের এই বিজয় দিবস। তবে গত ৫৫ বছরে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সেভাবে ধারণ করতে পারিনি। আমরা আমাদের পাঠ্যপুস্তকেও মুক্তিযুদ্ধের সঠিক প্রতিফলন রাখতে পারিনি। কারণ একটি নির্দিষ্ট গোষ্ঠি মুক্তিযুদ্ধকে কুক্ষিগত করে রাখতে চায়। অথচ মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতির একটি সামষ্টিক অর্জন। আমাদের এই বিজয় দিবসকে আরো বেশি আড়ম্বরপূর্ণভাবে উদযাপন করা উচিত ছিলো। আমরা সততার সাথে জীবনযাপন করলেই বরং প্রকৃত স্বাধীনতার স্বাদ পাওয়া যেতো।  

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সোহেল হাসান বলেন, মুক্তিযোদ্ধাদের যে অবদান, আমরা আজকাল সেটা ভুলতে বসেছি। তাদের প্রতি আমাদের শ্রদ্ধাবোধ কমে গেছে, আমাদের মধ্যে দেশপ্রেম নেই বললেই চলে। এমনকি স্বার্থের জন্য আমরা দেশকে বিক্রি করতেও দ্বিধা করি না। অথচ মুক্তিযুদ্ধের ৫৫ বছর পেরিয়ে আমাদের দেশ অনেক উচ্চতায় আসীন হবার কথা ছিলো। জাতি হিসেবে আমরা আরো সমৃদ্ধ হতে পারতাম। সেকারণে প্রকৃত দেশপ্রেম বুকে ধারণ করে দেশ পুনর্গঠনে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

এ সময় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ট্রেজারার অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ নাজমুল আহসান বলেন, আমাদের সকলকে মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের ধারণ করতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে আমাদের অনেক অর্জন রয়েছে। আরো বেশি অর্জন হতে পারতো। তবে সৎ ও নিষ্ঠাবান নেতার অভাবে সেটি সম্ভব হয়নি। এক্ষেত্রে জিয়াউর রহমান অনেকটা অগ্রগামী ছিলেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে তিনি দেশ পরিচালনায় খুব কম সময় পেয়েছেন। আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতে সত্যিকার নেতৃত্বই এদেশকে পুনর্গঠিত করতে পারবে।

সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও উদযাপন কমিটির সভাপতি ড. মোহাম্মদ আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং ইংরেজি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. মইনুল ইসলামের সঞ্চালনায় সভায় আরো বক্তব্য দেন মানবিকী অনুষদের ডিন মো. আব্দুর রহমান, এএসভিএম অনুষদের ডিন ড. মাহবুব হাসান, রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান, প্রক্টর ড. আরিফুজ্জামান রাজীব, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক মো. বদরুল ইসলাম প্রমুখ।

এছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন, প্রধান ফটক, আবাসিক হলসমূহে আলোকসজ্জার পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের মাঝে উন্নত খাবার পরিবেশন করা হয়।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...