Logo Logo

ভোটাধিকার নিয়ে সিলেটের হিলোয়াছড়া চা-বাগানে পথ নাটক অনুষ্ঠিত


Splash Image

অন্তর্ভুক্তিমূলক ভোটার এডুকেশন প্রোগ্রামের আওতায় ইন্সটিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যাফেয়ার্স (IDEA)-এর বাস্তবায়নে এবং IFES-এর সহযোগিতায় ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে হিলোয়াছড়া চা-বাগানে একটি পথ নাটক আয়োজন করা হয়। কর্মসূচিটি দুপুর ০৪:০০ ঘটিকায় শুরু হয় এবং এতে চা বাগান এলাকায় বসবাসরত নারী ও পুরুষ শ্রমিক এবং প্রথমবারের ভোটাররা স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।


বিজ্ঞাপন


এই পথ নাটক আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য ছিল চা বাগানের শ্রমজীবী জনগোষ্ঠী ও প্রথমবারের ভোটারদের মধ্যে ভোটাধিকার সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধি, ভোট প্রদানের গুরুত্ব তুলে ধরা এবং একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচনে সকলের সক্রিয় অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। একই সঙ্গে জাল ভোটের ক্ষতিকর প্রভাব, নির্বাচনকালীন গুজব ও ভুল তথ্য সম্পর্কে সতর্কতা সৃষ্টি এবং নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অংশগ্রহণের গুরুত্ব নাট্যরূপে উপস্থাপন করা হয়।

স্থানীয় জনগোষ্ঠীর সহজবোধ্য ভাষা, দৈনন্দিন জীবনের অভিজ্ঞতা এবং বাস্তবভিত্তিক ঘটনার আলোকে নাটকের কাহিনি নির্মাণ করা হয়, যা দর্শকদের কাছে বিষয়বস্তু অনুধাবনে সহায়ক হয়। নাটকের বিভিন্ন দৃশ্যে ভোটাধিকার ও ভোটের গুরুত্ব, সচেতন ভোটার হিসেবে দায়িত্ব পালন, জাল ভোট প্রতিরোধ, গুজব ও ভুল তথ্যের ঝুঁকি এবং নারী, প্রান্তিক জনগোষ্ঠী ও প্রথমবারের ভোটারদের অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণের বিষয়গুলো সুস্পষ্টভাবে তুলে ধরা হয়। নাটকের মাধ্যমে দেখানো হয়, কীভাবে দায়িত্বশীল ও সচেতন ভোটাররা একটি গ্রহণযোগ্য ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে ভূমিকা রাখতে পারেন।

উক্ত পথ নাটকে প্রায় ৩৫০ জন নারী ও পুরুষ চা শ্রমিক অংশগ্রহণ করেন, যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক ছিলেন প্রথমবারের ভোটার। অংশগ্রহণকারীদের সক্রিয় উপস্থিতি, আগ্রহ ও সম্পৃক্ততা কর্মসূচিটির সফলতা নিশ্চিত করে। নাটক শেষে অংশগ্রহণকারীরা ভোটের গুরুত্ব, সচেতন ভোটার হিসেবে দায়িত্ব পালন এবং আসন্ন নির্বাচনে নির্ভুলভাবে ভোট প্রদানের বিষয়ে তাদের অভিমত প্রকাশ করেন। অনেকেই জানান, নাট্যভিত্তিক এই সচেতনতামূলক কার্যক্রম ভোট সংক্রান্ত বিষয়গুলোকে তাদের কাছে আরও সহজ, বাস্তবসম্মত ও গ্রহণযোগ্য করে তুলেছে।

এই কার্যক্রমের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ভোটাধিকার ও ভোট প্রদান বিষয়ে জ্ঞান ও সচেতনতা বৃদ্ধি পেয়েছে, জাল ভোট ও গুজব সম্পর্কে সতর্কতা তৈরি হয়েছে এবং প্রথমবারের ভোটারদের মধ্যে ভোটে অংশগ্রহণের আগ্রহ লক্ষণীয়ভাবে বেড়েছে। পাশাপাশি প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অন্তর্ভুক্তিমূলক অংশগ্রহণের গুরুত্ব সম্পর্কে একটি ইতিবাচক মনোভাব গড়ে উঠেছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...