Logo Logo

নীলফামারীতে তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আনন্দ র‍্যালী ও আলোচনা সভা


Splash Image

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে নীলফামারীতে আনন্দ মিছিল, মোটরসাইকেল র‍্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।


বিজ্ঞাপন


মঙ্গলবার (২৪ ডিসেম্বর) বিকেলে নীলফামারী সদর উপজেলার রামনগর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড থেকে শুরু হয়ে ইউনিয়নের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে এ আনন্দ মিছিল ও র‍্যালী অনুষ্ঠিত হয়। কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেন রামনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজার রহমান এবং সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও সদর উপজেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জিয়াউল ইসলাম জিয়া।

মিছিল ও আলোচনা সভায় উপস্থিত ছিলেন ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বুলু, সাবেক সভাপতি বেলাল হোসেন, ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি মাসুদ সরকার (মুসা) ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক রতন বাদশা (ফকির), সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক এজি মুন্না, সদর উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান কল্যাণ ফ্রন্টের সদস্য সচিব ধীরেশ রায়সহ বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।

আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তন বিএনপির অভ্যন্তরে যেমন ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে, তেমনি জাতীয় রাজনীতিতেও নতুন আশার সঞ্চার করবে। এতে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক পরিবেশ আরও শক্তিশালী ও সুসংহত হবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

নেতাকর্মীরা আরও বলেন, দীর্ঘ ১৮ বছর ধরে বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের অপেক্ষায় ছিলেন। আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে তারা বিশ্বাস করে এসেছেন—তিনি বীরের বেশেই দেশে ফিরবেন। দীর্ঘদিন প্রবাসে অবস্থান করলেও তারেক রহমান দলের ঐক্য অটুট রেখেছেন এবং ধারাবাহিকভাবে আন্দোলনের দিকনির্দেশনা দিয়েছেন বলে মন্তব্য করেন বক্তারা।

বক্তারা অতীত প্রেক্ষাপট তুলে ধরে বলেন, ওয়ান–ইলেভেন পরবর্তী রাজনৈতিক বাস্তবতায় ২০০৮ সালে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে তারেক রহমান সপরিবারে যুক্তরাজ্যে যান। পরবর্তীতে ২০১২ সালে তিনি সেখানে রাজনৈতিক আশ্রয়ের আবেদন করেন, যা এক বছরের মধ্যেই গৃহীত হয়। এরপর দীর্ঘদিন দেশে ফেরা সম্ভব হয়নি তার। যদিও তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান বিভিন্ন সময়ে দেশে এসেছেন, কিন্তু তিনি নিজে দেশে ফিরতে পারেননি।

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আগামী ২৫ ডিসেম্বর তারেক রহমানের দেশে প্রত্যাবর্তনের মধ্য দিয়ে বিএনপির নেতাকর্মী ও সমর্থকদের মধ্যে নতুন উদ্দীপনা সৃষ্টি হয়েছে বলে মনে করছেন দলীয় নেতারা। তারা বলেন, এই প্রত্যাবর্তন ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক আন্দোলন ও সাংগঠনিক কার্যক্রমে নতুন গতি সঞ্চার করবে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন


বিজ্ঞাপন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...