বিজ্ঞাপন
মঙ্গলবার, ১০ জুন থেকে শুরু হয়েছে ফিরতি ফ্লাইট কার্যক্রম, যা চলবে আগামী ১০ জুলাই পর্যন্ত।
বাংলাদেশ থেকে এ বছর মোট ৮৭ হাজার ১৫৭ জন মুসল্লি হজ পালন করেছেন। দীর্ঘ দিনের অপেক্ষা ও আধ্যাত্মিক সাধনার পর হাজিরা এখন দেশে ফিরছেন আত্মতুষ্টি ও পরিতৃপ্তি নিয়ে। সৌদি আরবে অবস্থানকালে অনেকে অসুস্থ হয়ে পড়েন, যার মধ্যে ১৮৮ জন হজযাত্রী চিকিৎসা নিয়েছেন এবং ১৯ জন এখনও দেশটির বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
দুঃখজনকভাবে, এ বছর হজ পালনের সময় ১৯ জন বাংলাদেশি মুসল্লির মৃত্যু হয়েছে বলে হজ অফিস সূত্রে জানা গেছে। তবে সবচেয়ে বড় উদ্বেগের বিষয় ছিল ভুয়া হজ এজেন্সির সক্রিয়তা। সৌদি আরবের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, চলতি হজ মৌসুমে ৪৩৬টি অবৈধ হজ এজেন্সি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে এবং ৪৬২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে হজ বিধিনিষেধ লঙ্ঘনের দায়ে।
হজ কার্যক্রম চলাকালে অনেক হাজিরা মিনায় শয়তানকে পাথর নিক্ষেপের পর কাবা শরিফে ফরজ তাওয়াফ সম্পন্ন করেন। ফেরার পথে কিছু হাজি দিকভ্রান্ত হয়ে মক্কার হজ মিশনে আশ্রয় নেন, যেখানে বাংলাদেশ দূতাবাস ও হজ মিশনের কর্মকর্তারা তাদের সহায়তা প্রদান করেন।
চলতি বছর ৫ জুন অনুষ্ঠিত হয় মূল হজের দিন, আর হাজিদের প্রথম ফ্লাইট সৌদি আরবে পৌঁছায় ২৯ এপ্রিল। শেষ ফ্লাইট যায় ৩১ মে। এবারের হজ মৌসুম ছিল অত্যন্ত গরম এবং ভীষণ জনসমাগমপূর্ণ, যা সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার জন্য সৌদি কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করে।
বাংলাদেশ হজ অফিস ও ধর্ম মন্ত্রণালয় আশা করছে, ফিরতি ফ্লাইটের সময়সূচি এবং ব্যবস্থাপনায় কোনো জটিলতা হবে না। হাজিদের অনুরোধ, দেশে ফিরে যেন তারা হজের মূল শিক্ষা—আত্মশুদ্ধি, ধৈর্য ও সহমর্মিতাকে সমাজে বাস্তবায়নে সচেষ্ট থাকেন।