Logo Logo

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের প্রত্যাশা

লন্ডনে ইউনূস-তারেক বৈঠকে নির্ধারিত হতে পারে নির্বাচনের ভবিষ্যৎ


Splash Image

বাংলাদেশে নির্বাচন, রাজনৈতিক সংস্কার ও বিচারব্যবস্থার প্রশ্নে যখন উত্তেজনা চূড়ায়, ঠিক সেই সময় এক গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।


বিজ্ঞাপন


বৈঠকটি শুক্রবার (১৩ জুন) যুক্তরাজ্যের লন্ডনে স্থানীয় সময় সকাল ৯টা থেকে ১১টার মধ্যে হোটেল ডোরচেস্টারে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, দেশের আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে, এই বৈঠক সেই সংকট নিরসনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় নিয়ে সরকার ও বিএনপির অবস্থান যেহেতু ভিন্ন, তাই দুই পক্ষের মুখোমুখি আলোচনাই হতে পারে সমাধানের পথ।

বিএনপির উচ্চপর্যায়ের সূত্রে জানা গেছে, বৈঠকে দলের পক্ষ থেকে নির্বাচন, সংস্কার ও বিচার—এই তিনটি বিষয় প্রাধান্য পাবে। তবে মূল ফোকাস থাকবে ডিসেম্বরেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের দাবিতে। এমনকি ডিসেম্বরে না হলেও আগামী ফেব্রুয়ারির মধ্যে, অর্থাৎ রমজানের আগেই নির্বাচন সম্পন্ন করার বিষয়ে তারেক রহমানের পক্ষ থেকে জোরালো চাপ থাকতে পারে।

অন্যদিকে সরকারি সূত্র জানায়, সরকার আগামী ২০২৬ সালের এপ্রিলে নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্তে অটল। ড. ইউনূস তার ঈদ-পূর্ব ভাষণেই এই প্রস্তাব উপস্থাপন করেন। বৈঠকে তিনি তারেক রহমানকে এ সময়সূচির যৌক্তিকতা বোঝাতে উদ্যোগী হবেন বলে জানা গেছে।

এদিকে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, এই বৈঠক শুধু একটি আলোচনার সুযোগ নয়, বরং চলমান উত্তেজনা প্রশমনের একটি কৌশলগত প্ল্যাটফর্ম। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, "অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাভাবিক প্রক্রিয়ায় একটি নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে সরে যেতে হবে। এ অবস্থায় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও প্রধান উপদেষ্টার এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।"

গত কয়েক মাস ধরেই ডিসেম্বরে নির্বাচন চেয়ে আন্দোলন চালিয়ে আসছিল বিএনপি। তবে ঈদের আগের সন্ধ্যায় ড. ইউনূসের ভাষণের পরপরই বিএনপি স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সরকারের ঘোষণার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানায়। তারা নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে সরকারের সঙ্গে প্রকাশ্য বিরোধে নামে।

তবে ঈদের দিন গুলশানের ফিরোজায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে নেতারা শুভেচ্ছা বিনিময়ের সময় নির্বাচনী রোডম্যাপ নিয়েও আলোচনা হয়। সেসময় খালেদা জিয়া নেতাদের পরামর্শ দেন, সরাসরি সংঘাতে না গিয়ে আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খোঁজার। তিনি বলেন, “সংঘাতে গেলে লাভ নেই, বরং যুক্তির আলোকে সমঝোতার পথ খুঁজে নিতে হবে।”

তার এ বক্তব্যের পর থেকেই বিএনপির রাজনৈতিক অবস্থানে একটি পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে। দলটি এখন ডিসেম্বরে নির্বাচন দাবির পাশাপাশি একটি যৌক্তিক আলোচনার ভিত্তিতে সংকট সমাধানের পথ খুঁজছে।

বিজ্ঞাপন বিজ্ঞাপন

আরো দেখুন

পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...