Logo Logo
ইসলাম

চলন্ত যানবাহনে নামাজ আদায় করবেন যেভাবে


Splash Image

ছবি. সংগৃহীত

যাত্রাপথে বহু মুসলিম যাত্রী নামাজের ওয়াক্ত পড়লে দ্বিধায় পড়ে যান—বাস, ট্রেন বা বিমানের ভেতর কীভাবে নামাজ আদায় করা উচিত? ইসলামী শরিয়তের আলোকে চলন্ত অবস্থায় নামাজ আদায়ের বিধান জানলে এই বিভ্রান্তি দূর হবে।


বিজ্ঞাপন


লঞ্চ, ট্রেন, জাহাজ ও বিমানে নামাজের নিয়ম:

যদি যাতায়াতের সময় এমন যানবাহনে অবস্থান করেন যেখানে কেবলামুখী হয়ে দাঁড়ানো ও রুকু-সিজদা করা সম্ভব হয়—তাহলে সেভাবেই ফরজ নামাজ আদায় করা উচিত। এটি শারীরিকভাবে সম্ভব হলে পরবর্তীতে সেই নামাজ পুনরায় আদায়ের প্রয়োজন নেই।

তবে দাঁড়ানো কষ্টকর বা ঝুঁকিপূর্ণ হলে বৈধতা রয়েছে বসে নামাজ পড়ার। সে ক্ষেত্রেও রুকু ও সিজদা যথাসম্ভব স্বাভাবিকভাবে সম্পন্ন করা উত্তম।

কেবলামুখী হওয়া সম্ভব না হলে:

যদি কেবলামুখী হয়ে রুকু-সিজদাসহ নামাজ আদায় করা না যায়, তবে বসা অবস্থায় বা ইশারায় নামাজ আদায় করতে হবে। যেহেতু নামাজ ফেলে দেওয়া বৈধ নয়, তাই যেভাবে সম্ভব আদায় করে নিতে হবে। তবে সচেতন মুসলিম হিসেবে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে এসে ঐ নামাজ সতর্কতামূলকভাবে পুনরায় আদায় (কাযা) করে নেওয়া উত্তম।

🚌 বাসে চলন্ত অবস্থায় নামাজ:

বাসে সাধারণত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়া সম্ভব হয় না।

যদি গন্তব্যে পৌঁছার পর নামাজ আদায় করা যায়, তবে অপেক্ষা করাই উত্তম।

তবে ওয়াক্ত শেষ হয়ে যাওয়ার শঙ্কা থাকলে এবং বাস থেকে নিরাপদে নামা সম্ভব হলে পথিমধ্যে নেমে নামাজ আদায় করাই শ্রেয়।

আর যদি ভ্রমণ দীর্ঘ হয় কিংবা বাস থামানো সম্ভব না হয়, তাহলে সিটেই বসে ইশারার মাধ্যমে নামাজ আদায় করা যাবে। এ ক্ষেত্রে পরবর্তীতে ঐ নামাজ কাযা করে নেওয়া উত্তম ও সাবধানতামূলক।

দলিল ও উৎস:

ইলাউস সুনান (৭/২১২)

মাআরিফুস সুনান (৩/৩৯৪)

আদ্দুররুল মুখতার (২/১০১)

আরও পড়ুন

জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলন
জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলন
নড়াইলে জেলা বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ
নড়াইলে জেলা বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ