বিজ্ঞাপন
এ ঘটনায় আহত শিক্ষিকার স্বামী থানায় মামলা দায়েরের পর থেকে পরিবারটি হত্যার হুমকির মুখে নিরাপত্তাহীনতায় দিন পার করছে বলে অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগীরা।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে, গত ৯ জুন সকালে নিজ বাড়ির সামনে কাজ করছিলেন মো. আলমগীর সিকদার। পূর্ব বিরোধের জেরে একই এলাকার আশিকুল রহমান সৌরভ, হাবিবা বেগম ও নূর ইসলামসহ কয়েকজন লোহার রড ও লাঠি হাতে নিয়ে তার ওপর হামলা চালায়। আলমগীরের চিৎকার শুনে তার স্ত্রী কহিনূর বেগম ও কন্যা ফাতেমা জাহান ছুটে এলে তাদেরও বেধড়ক মারধর করা হয়। শিক্ষিকার শ্লীলতাহানির চেষ্টা ছাড়াও মেয়ের গলা থেকে স্বর্ণের চেইন ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগও করা হয়েছে।
আহত কহিনূর বেগম মানপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক হিসেবে কর্মরত। হামলার ঘটনায় তিনি মাথা ও মুখে গুরুতর আঘাত পান। তার নাকের হাড় ভেঙে গেছে এবং চোখে রক্ত জমাট বেঁধেছে বলে চিকিৎসা সূত্রে জানা গেছে। শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা শেষে বর্তমানে তারা বাড়িতে অবস্থান করছেন।
মামলা দায়েরের পর থেকে অভিযুক্তরা পরিবারটির প্রতি প্রকাশ্যে খুন-গুমের হুমকি দিয়ে যাচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন আলমগীর সিকদার। তিনি বলেন, “মামলার পর থেকেই আমরা চরম আতঙ্কে রয়েছি। পরিবার নিয়ে বাড়িতে অবস্থান করাও নিরাপদ মনে হচ্ছে না।”
শিক্ষিকা কহিনূর বেগম বলেন, “স্বামীকে রক্ষা করতে গিয়ে আমরাও হামলার শিকার হয়েছি। তারা আমাকে গায়ে হাত দিয়েছে, পোশাক ছিঁড়েছে। এটা কোনো সভ্য সমাজে মেনে নেওয়া যায় না।”
এ বিষয়ে নলছিটি থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আব্দুস সালাম বলেন, “লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
-মো. নাঈম হাসান ঈমন, ঝালকাঠি প্রতিনিধি