Logo Logo
মতামত

নারী-শিশু লাশ আর আগুনে পোড়া মসজিদ—এ কেমন মানবতা?


Splash Image

নবীজি (সা.)-এর সময়ের যুদ্ধ এবং আজকের ‘সভ্য’ বিশ্বের যুদ্ধ – এক আকাশ এক পৃথিবী।


বিজ্ঞাপন


প্রিয়নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) জীবদ্দশায় ২৭টি যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছেন। দুই পক্ষ মিলিয়ে প্রাণ হারিয়েছিল প্রায় চার শতাধিক যোদ্ধা। কেউ ছিলেন না নারী, শিশু বা সাধারণ নাগরিক।

আজকের তথাকথিত উন্নত ও মানবিক বিশ্বে একটি বোমার আঘাতেই নিহত হয় চার শতাধিক মানুষ—তাদের অধিকাংশই নারী, শিশু ও বয়স্ক সাধারণ নাগরিক।

এরপরও বলা হয়—এই পৃথিবী সভ্য!

নারী ও শিশুর নিরাপত্তা:

নবীজি (সা.)-এর সময় যুদ্ধে নারীদের স্পর্শ করাও নিষিদ্ধ ছিল। আজকের পৃথিবীতে নারী ও শিশু যেন রণাঙ্গণের সহজ লক্ষ্যবস্তু। শিশুদের কান্না, নারীদের চিৎকার যেন এখন যুদ্ধের নিয়মিত শব্দ!

এরপরও বলা হয়—এই পৃথিবী মানবিক!

উপাসনালয় ও ধর্মীয় সহনশীলতা:

নবীজি (সা.) কখনো কোনো উপাসনালয়ের যাজককে হত্যা করেননি। অথচ আজ উপাসনালয় ও ধর্মীয় নেতারা হামলার মূল লক্ষ্য!

এরপরও বলা হয়—এই পৃথিবী ধর্মীয়ভাবে সহনশীল!

পরিবেশ রক্ষা ও যুদ্ধনীতি:

খলিফা আবু বকর (রা.) নির্দেশ দিয়েছিলেন—যুদ্ধে কোনো গাছ কাটা যাবে না, ফসল নষ্ট করা যাবে না। আজ কার্পেট বোমায় ধ্বংস হয় জঙ্গল, খেত ও পুরো পরিবেশ।

এরপরও বলা হয়—এই পৃথিবী পরিবেশবান্ধব!

মানবাধিকার:

নবীজি (সা.) যুদ্ধের মৃতদেহকেও সম্মান করার নির্দেশ দিয়েছেন। আজ, লাশের প্রতি বর্বরতা যেন আনন্দের মাধ্যম!

এরপরও বলা হয়—এই পৃথিবী মানবাধিকারের চূড়ান্ত স্থান!

আক্রমণের নীতি:

নবীজি (সা.) সম্মুখ যুদ্ধেও আগে প্রতিপক্ষকে দাওয়াত দিতেন। আর আজ, আধুনিক বিশ্বে ঘুমন্ত মানুষের ওপর রাতের আঁধারে হামলা চালানো হয়!

এরপরও বলা হয়—এই পৃথিবী শান্তিকামী!

মানবিকতা, নৈতিকতা ও সত্যিকার সভ্যতার উদাহরণ আমরা পাই প্রিয়নবী (সা.)-এর জীবন থেকে। বর্তমান বিশ্বের বিবেককে জাগ্রত করতে হলে ফিরে যেতে হবে তাঁর আদর্শের কাছে।

আরও পড়ুন

মৌলভী জয়নুল আবেদীন অ্যাসোসিয়েশনের বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প
মৌলভী জয়নুল আবেদীন অ্যাসোসিয়েশনের বিনামূল্যে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্প
ইবাদতের ঘর মসজিদে যেসব কাজ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ
ইবাদতের ঘর মসজিদে যেসব কাজ কঠোরভাবে নিষিদ্ধ