Logo Logo
অপরাধ

দোকান দখল করে পাঠাগার, থানায় অভিযোগ জামায়াত নেতাদের বিরুদ্ধে


Splash Image

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে একটি দোকান জোরপূর্বক দখল করে ‘ইসলামিক পাঠাগার’ স্থাপনের অভিযোগ উঠেছে জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে।


বিজ্ঞাপন


দোকান মালিক মোহাম্মদ হারুন ও ভাড়াটিয়া মো. মাহফুজুর রহমান দাবি করেছেন, আদালতে মামলা চলমান থাকা সত্ত্বেও ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আলাউদ্দিন দলবল নিয়ে দোকানটি দখল করেছেন, ফলে তারা ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছেন।

শনিবার (২২ জুন) বিকেলে ভাড়াটিয়া মাহফুজুর রহমান সোনাইমুড়ী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এর আগে জায়গার মালিক মোহাম্মদ হারুন আদালতে মামলা দায়ের করেন। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে।

জানা যায়, ঘটনাটি সোনাইমুড়ী উপজেলার আমিশাপাড়া ইউনিয়নের ভদ্রগাঁও এলাকায়। অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, প্রায় ১৫ বছর আগে জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে মৃত ফজলুল হকের ছেলে সিরাজুল ইসলামের কাছ থেকে তিন শতক জমি কিনেছিলেন তৎকালীন ইউনিয়ন আমির তোফায়েল আহম্মদ মাস্টার। যদিও জমি কেনার পর সেখানে কোনো স্থাপনা নির্মাণ করা হয়নি।

ভুক্তভোগী মোহাম্মদ হারুন দাবি করেন, সেই জমির পাশেই তার মালিকানাধীন দোকানঘর রয়েছে, যা তিনি ভাড়া দিয়ে থাকেন। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে বর্তমান ইউনিয়ন আমির আলাউদ্দিন ও তার অনুসারীরা জমি দখলের চেষ্টা শুরু করেন। একপর্যায়ে তারা ভাড়াটিয়ার মালামাল বাইরে ফেলে দিয়ে দোকানটিতে তালা লাগিয়ে দখলে নেন।

হারুন আদালতের আশ্রয় নিলে সোনাইমুড়ী থানাকে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়। তদন্ত কর্মকর্তা এএসআই ফরিদ উদ্দিন জমির প্রকৃত মালিক হিসেবে মোহাম্মদ হারুনকে চিহ্নিত করেন। এরপর আদালত জামায়াত নেতাদের হাজিরার নির্দেশ দিলেও তারা তা অমান্য করেন।

পরবর্তীতে আদালতের নির্দেশে হারুন তার ভাড়াটিয়া মাহফুজুর রহমানকে পুনরায় দোকান বুঝিয়ে দেন। কিন্তু কয়েক দিনের মধ্যেই আবারও পাঠাগার স্থাপনের নামে দোকানটি দখল করা হয়। এতে প্রায় পাঁচ লাখ টাকার ফার্নিচার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে দাবি করেন মাহফুজ।

তিনি আরও জানান, গত ১৫ বছর ধরে তিনি সেখানে ব্যবসা করছেন এবং এক বছর আগে তিন লাখ টাকা অগ্রিম দিয়ে নতুন করে চুক্তি করেন। দুই দফায় দোকানের মালামাল বাইরে ফেলে দেওয়ায় তিনি ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন।

বিষয়টি জানতে চাইলে আমিশাপাড়া ইউনিয়ন জামায়াতের আমির আলাউদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তারা ২০০৯ সালে ইসলামিক পাঠাগারের জন্য জমি কিনেছিলেন। আওয়ামী লীগ সরকারের সময় তারা সেখানে কিছু করতে পারেননি। বর্তমানে সরকারের পতনের পর তারা জমি বুঝে নিতে গেলে দেখতে পান, দোকানটি তাদের কেনা জমির ওপর নির্মিত। তার দাবি অনুযায়ী, জায়গার প্রকৃত মালিক পাঠাগার, অন্য কেউ নয়।

এ নিয়ে দুই পক্ষকে নিয়ে থানায় বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।

সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোরশেদ আলম বলেন, “ব্যবসায়ী জাতীয় জরুরি সেবা নম্বর ৯৯৯-এ কল দিয়ে বিষয়টি জানান। দুই পক্ষের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। সোমবার বিকেলে থানায় বৈঠক ডাকা হয়েছে। সেখানে উভয় পক্ষের বক্তব্য শোনা হবে।” লিখিত অভিযোগ জমা দেওয়ার বিষয়টি তার জানা ছিল না বলে জানান।

প্রতিবেদক- গিয়াস রনি, নোয়াখালী।

আরও পড়ুন

জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলন
জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলন
নড়াইলে জেলা বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ
নড়াইলে জেলা বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ