বিজ্ঞাপন
গবেষণা বলছে, ধূমপান ছাড়ার পর শরীরে অবিশ্বাস্য পরিবর্তন দেখা দেয় এবং এই পরিবর্তনের শুরু হয় মাত্র ২০ মিনিটের মধ্যেই!
চলুন দেখে নিই ধূমপান ত্যাগ করার পর শরীর ধাপে ধাপে কীভাবে ফিরে পায় তার স্বাভাবিক স্বাস্থ্যগত ভারসাম্য—
২০ মিনিটের মধ্যে:
ধূমপান ছাড়ার মাত্র ২০ মিনিটের মাথায় রক্তচাপ ও হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক হতে থাকে। হাত ও পায়ের রক্তপ্রবাহ উন্নত হয়, যা শরীরকে দেয় তাৎক্ষণিক স্বস্তি।
১২ ঘণ্টার মধ্যে:
রক্তে জমে থাকা বিষাক্ত কার্বন মনোক্সাইডের পরিমাণ কমে গিয়ে অক্সিজেনের মাত্রা স্বাভাবিক হতে থাকে। এতে শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক হয়।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে:
হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি কমে যায়। রক্তে বাড়তে থাকে অক্সিজেন, যা শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গে শক্তি জোগায়।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যে:
ঘ্রাণ ও স্বাদের অনুভূতি ফিরে আসতে শুরু করে। নিকোটিনের প্রভাব কমে যাওয়ায় স্নায়ু আবার সক্রিয় হয়।
২ সপ্তাহ থেকে ৩ মাসের মধ্যে:
ফুসফুসের কার্যক্ষমতা উন্নত হয়। হাঁটাচলা বা ব্যায়ামের সময় শ্বাসকষ্ট কমে যায়। রক্ত চলাচল আরও মসৃণ হয়।
১ থেকে ৯ মাসের মধ্যে:
ফুসফুস নিজেকে পরিষ্কার করা শুরু করে। ধীরে ধীরে কাশি, শ্লেষ্মা ও শ্বাসকষ্টের সমস্যা হ্রাস পায়।
১ বছরের মধ্যে:
হৃদরোগের ঝুঁকি প্রায় ৫০% কমে যায়। স্ট্রোকের ঝুঁকিও অনেকটা হ্রাস পায়।
৫ থেকে ১৫ বছরের মধ্যে:
স্ট্রোকের ঝুঁকি অধূমপায়ীর সমপর্যায়ে নেমে আসে। মুখ, গলা, খাদ্যনালি এবং মূত্রাশয়ের ক্যানসারের সম্ভাবনাও অনেকটা কমে।
১০ বছরের মধ্যে:
ফুসফুসের ক্যানসারসহ অন্যান্য ক্যানসারের ঝুঁকি নাটকীয়ভাবে কমে যায়।
১৫ বছরের মধ্যে:
আপনার হৃদযন্ত্র, রক্তনালী এবং ফুসফুসের স্বাস্থ্য একজন অধূমপায়ীর মতোই হয়ে ওঠে। দীর্ঘমেয়াদি জটিল রোগের ঝুঁকি হয়ে যায় প্রায় শূন্যের কোঠায়।
চিকিৎসকরা যা বলছেন:
বিশেষজ্ঞদের মতে, ধূমপান ছাড়ার জন্য কখনোই দেরি হয়ে যায় না। আপনি যত দেরিতেই ধূমপান ছাড়ুন না কেন, শরীর ঠিকই নিজেকে মেরামত করা শুরু করে। যত দ্রুত ধূমপান ত্যাগ করবেন, তত দ্রুতই পাবেন সুস্থ জীবনের নিশ্চয়তা।
মনে রাখবেন: ধূমপান ছাড়ার প্রথম দিন থেকেই শুরু হয় সুস্থ জীবনের নতুন যাত্রা।
-এমএসকে