ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, “তিনটি একক নাটকীয় নির্বাচনের মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আছেন। এসব নির্বাচনের সময়ের প্রত্যেক নির্বাচন কমিশনারই ফ্যাসিবাদের অংশ। তবে তারা যত বড় অপরাধীই হোক না কেন, তাদের বিচার হবে আইনের মাধ্যমে, জনতার হাতে নয়।”
মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাজধানীর শেরে বাংলানগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের মাজারে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির নেতাকর্মীদের সঙ্গে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী আরো বলেন, “আগামী জাতীয় নির্বাচনের আগে সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা এবং মব জাস্টিসের মতো অবৈধ কর্মকাণ্ড বন্ধ করা।”
তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, “দলের যেকোনো নেতাকর্মী যদি মব জাস্টিসে জড়িয়ে পড়েন, তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।”
বিএনপি নেতা আদালতে পুলিশের উপস্থিতিতে আসামিদের হেনস্তার ঘটনাতেও উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “ভোটারবিহীন নির্বাচনের জন্য সাবেক তিনজন প্রধান নির্বাচন কমিশনার দায়ী। তবে তাদের বিচারও হতে হবে আইনানুগ প্রক্রিয়ায়।”
এসময় দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা নিয়েও সরকারের ব্যর্থতা তুলে ধরেন রিজভী। তিনি বলেন, “দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আবারও উদ্বেগজনকভাবে বাড়ছে। ডেঙ্গু পরিস্থিতিও অবনতির দিকে যাচ্ছে। কিন্তু সরকার কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছে না। দ্রুত স্বাস্থ্য খাতে কার্যকর ও সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করতে হবে।”
অনুষ্ঠানে বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া, নির্বাহী কমিটির সদস্য তকদির হোসেন মোহাম্মদ জসিম, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির সভাপতি খালেদ মাহমুদ হোসেন শ্যামল, সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম সিরাজসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।