ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
দীর্ঘ আইনি লড়াই ও নিবন্ধন সংক্রান্ত জটিলতা শেষে এই প্রতীক বরাদ্দের মধ্য দিয়েই দলটি সক্রিয় রাজনীতিতে আনুষ্ঠানিকভাবে ফিরে এল।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকেলে নির্বাচন কমিশন সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। নির্বাচন কমিশনের একাধিক কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, কমিশনের অভ্যন্তরীণ পর্যবেক্ষণ এবং আইনি ব্যাখ্যার ভিত্তিতে জামায়াতের পক্ষে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
উল্লেখযোগ্য যে, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধকালীন ভূমিকা এবং স্বাধীনতা-পরবর্তী রাজনৈতিক অবস্থানের কারণে ২০১৩ সালে জামায়াতের নিবন্ধন বাতিল করে নির্বাচন কমিশন। সেই সময় হাইকোর্টের এক রায়ে বলা হয়, জামায়াতের গঠনতন্ত্র সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এরই প্রেক্ষিতে নির্বাচন কমিশন দলটির নিবন্ধন বাতিল করে দেয়।
নিবন্ধন হারানোর পর জামায়াত নানা সময় ভিন্ন নামে ও নতুন সংগঠনের আড়ালে রাজনীতিতে ফেরার চেষ্টা চালায়। কখনও ইসলামী আন্দোলন, কখনও খেলাফত ভিত্তিক সংগঠনের ব্যানারে তারা সক্রিয় থাকলেও নির্বাচন কমিশনের স্বীকৃতি পায়নি।
তবে সর্বশেষ আইনি প্রক্রিয়ায় সফলতা অর্জনের পর দলটি পুরনো কাঠামো এবং প্রতীকেই ফের সক্রিয় রাজনীতির ময়দানে ফিরতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
নির্বাচন কমিশনের এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক অঙ্গনে নতুন করে আলোচনা শুরু হয়েছে। অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন, একসময় অস্বীকৃত ও বাতিলকৃত একটি দল কীভাবে আবার নিবন্ধন এবং প্রতীক ফিরে পায়? আবার অন্য একাংশ বলছে, গণতন্ত্র ও রাজনৈতিক অধিকারের স্বার্থেই জামায়াতের ফিরে আসা ‘বাধাহীনভাবে’ মেনে নেওয়া উচিত।
জামায়াতের পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি, তবে দলটির একটি ঘনিষ্ঠ সূত্র জানিয়েছে, "দীর্ঘ অপেক্ষা ও সংগ্রামের পর আল্লাহর অশেষ রহমতে আমরা ফিরছি। এখন থেকে শান্তিপূর্ণভাবে গণতান্ত্রিক চর্চা ও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় অংশ নেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছি।"
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে জামায়াতে ইসলামীর এই প্রত্যাবর্তন রাজনৈতিক সমীকরণে কতটা প্রভাব ফেলবে, তা নিয়ে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ও সংশ্লিষ্ট মহলে চলছে নানা জল্পনা।