ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
ফোনালাপে ইরানি প্রেসিডেন্ট পেজেশকিয়ান সরাসরি অভিযোগ করেন, মুসলিম দেশগুলোর মধ্যে বিভাজন সৃষ্টিতে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, “আমরা বিশ্বাস করি, আমেরিকা ও ইহুদিবাদী শক্তি মুসলিম ভ্রাতৃত্ব ধ্বংস করতে চায়। কিন্তু ইরান আঞ্চলিক ঐক্য ও শান্তির পক্ষে বরাবরই অটল।”
তিনি আরও বলেন, ফিলিস্তিনিদের অধিকার নিশ্চিত করা এবং আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে মুসলিম দেশগুলোর সম্মিলিত প্রচেষ্টা এখন সময়ের দাবি। “আমরা শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক কর্মসূচি ও বৈধ প্রতিরক্ষা সক্ষমতা প্রশ্নে কোনো আপস করব না,” বলেন পেজেশকিয়ান।
১২ দিন ধরে চলমান ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রেক্ষাপটে এই ফোনালাপ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, “সৌদি আরব শুরু থেকেই ইরানের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের আগ্রাসনের নিন্দা জানিয়ে আসছে। মধ্যপ্রাচ্যে কোনো দেশকে ইরানের বিরুদ্ধে ব্যবহারের সুযোগ দেওয়া হবে না।” তিনি আরও জানান, সৌদি ভূখণ্ড থেকে ইরানবিরোধী হামলার সম্ভাবনাও কঠোরভাবে প্রতিহত করা হবে।
যুবরাজ আরও বলেন, ইসরায়েলের হামলা বন্ধে রিয়াদ কূটনৈতিক পর্যায়ে তৎপর রয়েছে এবং ইরানের পাল্টা প্রতিক্রিয়ার পেছনের যৌক্তিকতাও তারা বোঝে।
উল্লেখ্য, সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তিনটি শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালালে, ইরান কাতারে অবস্থিত মার্কিন ঘাঁটিতে পাল্টা জবাব দেয়। এই ঘটনার পর ইরান-সৌদি ঐক্য ও কৌশলগত যোগাযোগ মধ্যপ্রাচ্য রাজনীতিতে নতুন মোড় এনেছে।
-সূত্র: প্রেস টিভি (এমএসকে)