Logo Logo
টেকনলজি

ইউটিউব-ফেসবুক থেকে আয় হালাল না হারাম? জেনে নিন ইসলামি দৃষ্টিভঙ্গি


Splash Image

বর্তমান যুগে ইউটিউব, ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রাম শুধু বিনোদনের মাধ্যম নয়—এসব প্ল্যাটফর্ম এখন হয়ে উঠেছে অর্থ উপার্জনের একটি বড় উৎস। অনেকেই এসব মাধ্যমে কাজ করে আয় করছেন লক্ষ লক্ষ টাকা।


বিজ্ঞাপন


কিন্তু প্রশ্ন থেকে যায়—ইসলামি দৃষ্টিকোণ থেকে এসব মাধ্যমে আয় করা হালাল, না কি হারাম?

ইসলামি চিন্তাবিদ মুহাম্মদ মিজানুর রহমান জানিয়েছেন, এই আয়ের বৈধতা নির্ভর করে মূলত তিনটি বিষয়ের ওপর: কনটেন্ট, উপস্থাপন পদ্ধতি, এবং বিজ্ঞাপনের ধরন।

যখন আয় হালাল হয়:

১. হালাল কনটেন্ট:

ইসলামি আলোচনা, শিক্ষামূলক বিষয়, ভ্রমণ, রান্না, টিউটোরিয়াল, হস্তশিল্প ইত্যাদি কনটেন্ট থেকে আয় হালাল বলে গণ্য হয়।

২. অশ্লীলতা-মুক্ত উপস্থাপন:

ভিডিও বা লেখায় কোনো অশ্লীলতা, গীবত, অপবাদ, মিথ্যা বা বিভ্রান্তিকর তথ্য না থাকলে, তা হালাল আয়ের অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

বিজ্ঞাপনে নিয়ন্ত্রণ:

ইউটিউব বা ফেসবুক স্বয়ংক্রিয়ভাবে বিজ্ঞাপন দেখায়, যার মধ্যে কখনো হারাম (মদ, জুয়া, অশ্লীলতা) থাকতে পারে। তবে "Ad category blocking" ব্যবহারে তা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

যখন আয় হারাম হয়:

১. অশ্লীল বা হারাম কনটেন্ট:

গানের ভিডিও, নাচ, শরীর প্রদর্শন, ব্যঙ্গাত্মক বা নিন্দাজনক বিষয়—এসব থেকে আয় করা ইসলামে হারাম।

২. মিথ্যা প্রচার:

গুজব ছড়ানো, বিভ্রান্তিকর তথ্য উপস্থাপন করে যদি টাকা উপার্জন করা হয়, সেটিও হারাম।

৩. হারাম পণ্যের বিজ্ঞাপন:

যদি কারও কনটেন্টে হারাম পণ্যের বিজ্ঞাপন চলে এবং সেখান থেকে অর্থ আসে, তবে সে আয়ের বৈধতা থাকবে না।

বিশ্বস্ত ইসলামি আলেমদের মতে, কনটেন্ট ও বিজ্ঞাপন উভয়ই যদি শরিয়তসম্মত হয়, তবে ইউটিউব বা সোশ্যাল মিডিয়া থেকে আয় হালাল হতে পারে। তবে কেউ যদি সরাসরি হারাম প্রচার না করেও নিজের ভিডিওতে হারাম বিজ্ঞাপন চালাতে দেয়, তা সন্দেহজনক (মাকরূহ) হতে পারে।

ইউটিউব, ফেসবুক বা ইনস্টাগ্রাম থেকে আয় নিজে হারাম বা হালাল নয়। এটি নির্ভর করে আপনি কী কনটেন্ট প্রকাশ করছেন, কীভাবে উপস্থাপন করছেন এবং কোন পদ্ধতিতে আয় করছেন—তার ওপর। হালাল রাখতে হলে ইসলামি গণ্ডির মধ্যে থেকেই সচেতনভাবে কাজ করতে হবে।

-এমএসকে

আরও পড়ুন

ঘরোয়া লীগে সফল, জাতীয় দলে ব্যর্থ, বিজয় ইস্যুতে বুলবুলের কৌশলী মন্তব্য
ঘরোয়া লীগে সফল, জাতীয় দলে ব্যর্থ, বিজয় ইস্যুতে বুলবুলের কৌশলী মন্তব্য
কৃষি প্রণোদনায় দুর্নীতির অভিযোগ, সরকারি বীজ-সার থেকে বঞ্চিত প্রান্তিক চাষিরা
কৃষি প্রণোদনায় দুর্নীতির অভিযোগ, সরকারি বীজ-সার থেকে বঞ্চিত প্রান্তিক চাষিরা