বিজ্ঞাপন
তিনি বলেন, “সত্যিকার অর্থে কানেক্টেড ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল সোসাইটি গড়ে তুলতে সাব-১ গিগাহার্টজ লো ব্যান্ড স্পেকট্রামের সর্বোত্তম বরাদ্দ ও সমতাপূর্ণ বণ্টন অপরিহার্য।”
বুধবার (৫ নভেম্বর) তিনি বাংলালিংকের প্রধান কার্যালয় ও অত্যাধুনিক নেটওয়ার্ক ম্যানেজমেন্ট সেন্টার পরিদর্শনকালে এ কথা বলেন।
পরিদর্শনকালে তিনি গ্রামীণ এলাকায় ৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের কভারেজ সম্প্রসারণ, নেটওয়ার্ক জ্যাম হ্রাস এবং দেশের সব টেলিকম অপারেটরের জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিতের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “এ ধরনের পদক্ষেপ সারাদেশে উচ্চমানের ডিজিটাল সংযোগ নিশ্চিত করবে এবং জনগণের জীবনমান উন্নয়নে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।”
পরিদর্শনকালে বাংলালিংকের প্রতিনিধিদের সঙ্গে তার এক ফলপ্রসূ আলোচনা হয়। আলোচনায় গ্রাহককেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলালিংক কিভাবে উন্নত সংযোগ ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা-নির্ভর উদ্ভাবনের মাধ্যমে গ্রাহকদের ডিজিটাল ও আর্থিক অন্তর্ভুক্তির অগ্রযাত্রাকে ত্বরান্বিত করছে, তা উপস্থাপন করা হয়।
বাংলালিংকের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ এ সময় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তির প্রয়োগ, ইন্টারনেটের গতি বৃদ্ধি, সার্ভিস কোয়ালিটি (QoS) উন্নয়ন, নেটওয়ার্ক আধুনিকায়ন এবং নিরবচ্ছিন্ন গ্রাহক সেবা নিশ্চিতে চলমান বিনিয়োগ কার্যক্রমের চিত্র তুলে ধরে। পাশাপাশি, সরকারের ডিজিটালাইজেশন লক্ষ্য বাস্তবায়নে সুবিধাবঞ্চিত জনগোষ্ঠীর জীবনমানোন্নয়নে প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন ডিজিটাল ও আর্থিক সেবা সম্প্রসারণ কার্যক্রমের ওপরও গুরুত্ব দেওয়া হয়।
বাংলালিংকের নেওয়া নেটওয়ার্ক কার্যকারিতা বৃদ্ধিমূলক পদক্ষেপের প্রশংসা করে ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, “স্পেকট্রামের কার্যকারিতা বাড়ানো, সুষ্ঠু প্রতিযোগিতা ও সকল গ্রাহকের উন্নত অভিজ্ঞতা নিশ্চিতের লক্ষ্যে সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্ব আরও জোরদার করতে হবে।”
বাংলালিংকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইওহান বুসে বলেন, “আমাদের গ্রাহকদের অভিজ্ঞতা সমৃদ্ধ করার ক্ষেত্রে প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর মূল্যবান দিকনির্দেশনা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তিনি লো ব্যান্ড স্পেকট্রাম ও ৭০০ মেগাহার্টজ ব্যান্ডের সুষ্ঠু ও সমতাপূর্ণ বণ্টনের ওপর যে গুরুত্ব দিয়েছেন, তা বাংলাদেশের প্রতিটি নাগরিকের জন্য উচ্চমানের নেটওয়ার্ক নিশ্চিতের ক্ষেত্রে বড় ভূমিকা রাখবে।”
তিনি আরও বলেন, “বিশ্বব্যাপী ‘ডিজিটাল ডিভিডেন্ড ব্যান্ড’ হিসেবে স্বীকৃত এই স্পেকট্রাম গ্রামীণ সংযোগ সম্প্রসারণ, কভারেজ বৃদ্ধি এবং নেটওয়ার্ক পারফরমেন্স উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এর পূর্ণ সম্ভাবনা কাজে লাগাতে পারলে সত্যিকার অর্থে কানেক্টেড বাংলাদেশের স্বপ্ন বাস্তবায়ন সম্ভব হবে।”
বাংলাদেশের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় ডিজিটাল অপারেটর বাংলালিংক দেশের মানুষের ক্ষমতায়নে কাজ করছে “ডিজিটাল ফর অল” লক্ষ্য নিয়ে। প্রতিষ্ঠানটির সেবার পোর্টফোলিওতে রয়েছে টেলকো-অ্যাগনোস্টিক সুপার অ্যাপ মাইবিএল, বিনোদন প্ল্যাটফর্ম টফি, এবং দেশের প্রথম এআই-নির্ভর ডিজিটাল লাইফস্টাইল প্যাকেজ রাইজ। নাসডাক-তালিকাভুক্ত বৈশ্বিক ডিজিটাল অপারেটর ভিওন লিমিটেডের একটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান হিসেবে বাংলালিংক উদ্ভাবন ও অন্তর্ভুক্তিমূলক ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রযাত্রায় অঙ্গীকারবদ্ধ।
জনপ্রিয়
বিজ্ঞাপন
পরবর্তী সংবাদ লোড হচ্ছে...