ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
এছাড়া রাবার বুলেট, লাঠিপেটা ও কাঁদানো গ্যাসে আহত হয়েছেন বিক্ষোভকারী, সাংবাদিক এবং পুলিশ সদস্যরাও।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (২৫ জুন)। বিক্ষোভে পুলিশের সহিংস ব্যবহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল এবং কেনিয়ার জাতীয় মানবাধিকার কমিশন (কেএনসিএইচআর)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, জীবনযাত্রার ব্যয় বৃদ্ধি, দুর্নীতি এবং নতুন কর নীতির প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ রাস্তায় নেমে আসে। শান্তিপূর্ণভাবে শুরু হওয়া এই বিক্ষোভে পুলিশ জলকামান, টিয়ার গ্যাস এবং সরাসরি গুলি ছোড়ে।
বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেছেন, নিরাপত্তা বাহিনীর পাশাপাশি লাঠিধারী কিছু ব্যক্তি মোটরসাইকেলে করে মিছিলকারীদের ওপর হামলা চালায়। তাদের দাবি, এই হামলাকারীদের সঙ্গে পুলিশের সমন্বয় ছিল এবং এটি পূর্বপরিকল্পিত।
বিক্ষোভের সময় রাজধানীর কেন্দ্রস্থলে কেনিয়ার জাতীয় পতাকা, পুলিশের গুলিতে নিহতদের ছবি এবং প্রতিবাদী প্ল্যাকার্ড হাতে মিছিল করতে দেখা গেছে অংশগ্রহণকারীদের। কেউ কেউ আগুন জ্বালিয়ে প্রতীকী প্রতিবাদ জানান। এই সময় প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটোর পদত্যাগের দাবিতেও স্লোগান ওঠে।
বিক্ষোভ ঘিরে আন্তর্জাতিক উদ্বেগও দেখা দিয়েছে। মঙ্গলবার (২৪ জুন) যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডাসহ কয়েকটি দেশের দূতাবাস এক যৌথ বিবৃতিতে সব পক্ষকে সহিংসতা পরিহার ও শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলার আহ্বান জানিয়েছে।
কেনিয়ার প্রেসিডেন্ট উইলিয়াম রুটো সহিংসতা বন্ধে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়ে বলেন, “দেশকে ধ্বংস করবেন না।”
প্রসঙ্গত, গত বছরও করবৃদ্ধির বিরুদ্ধে চলা আন্দোলনে পুলিশের গুলিতে অন্তত ৬০ জন নিহত হন। সেই ঘটনার স্মরণে এবারকার বিক্ষোভে অংশ নেয়া অনেকেই নিহতদের ছবি বহন করেন এবং পূর্বের বিচারহীনতার বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলেন।