ছবি: ভিডিও থেকে নেয়া।
বিজ্ঞাপন
কৌতূহলী মানুষজন ভিড় করছেন পুকুরপাড়ে।
বুধবার (২৫ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে চরকৈলাশ গ্রামের আমজাদ মজিদ মিয়ার বাড়ির পেছনের পুকুরে কুমিরটি ভেসে থাকতে দেখেন তার স্ত্রী নাহিদা আক্তার পান্না। মুহূর্তেই খবরটি এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে শত শত মানুষ কুমির দেখতে পুকুরপাড়ে ভিড় জমায়।
পুকুরের মালিক মো. মাসুদুল ইসলাম শরীফ বলেন, “গত রোববার বিকেলে ফেরিওয়ালাদের বাড়ির বেলালের মেয়ের ঘরে প্রথম কুমিরটি দেখা যায়। তখন তারা প্রাণীটিকে মেরে ফেলতে চেষ্টা করে, কিন্তু কুমিরটি পালিয়ে যায়। বুধবার বিকেলে আমার স্ত্রী ঘরের পেছনের পুকুরে কুমিরটি আবার ভেসে থাকতে দেখে।”
স্থানীয় বাসিন্দা শাহেদ উদ্দিন জানান, “বুধবার সন্ধ্যা পর্যন্ত কুমিরটি পুকুরে দেখা গেছে। তবে বৃহস্পতিবার সকাল ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত পুকুরে ঘুরে কুমিরটির কোনো অস্তিত্ব পাওয়া যায়নি। রাতে কেউ পাহারাও দেয়নি। এখন নিশ্চিত নয় যে এটি পুকুরেই আছে, নাকি সরে গেছে।”
এ নিয়ে স্থানীয়দের মধ্যে আতঙ্ক ও কৌতূহলের পাশাপাশি নানা ধরনের মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে। অনেকেই ধারণা করছেন, এটি মিঠা পানির কুমির হতে পারে।
খবর পেয়ে হাতিয়া বন বিভাগের বিট কর্মকর্তা আরিফুল ইসলাম বুধবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থলে যান। তিনি জানান, “পুকুরে কুমির সদৃশ বস্তু দেখা গেছে, তবে আলো স্বল্পতার কারণে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া সম্ভব হয়নি। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছি। সকালে আবার যাচাই করে দেখা হবে।”
হাতিয়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আলাউদ্দিন বলেন, “আমি বিষয়টি শুনেছি। কেউ বলছেন কুমির, আবার কেউ বলছেন কুমিরের মতো কিছু একটা। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্ট দপ্তরকে জানিয়েছি।”
এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত প্রশাসনের কোনো আনুষ্ঠানিক তল্লাশি বা নিরাপত্তামূলক পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি বলে এলাকাবাসীর অভিযোগ। তবে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে রয়েছে বন বিভাগ ও স্থানীয় প্রশাসন।
প্রতিবেদক - গিয়াস রনি, নোয়াখালী।