ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
বার্তা সংস্থা আনাদোলুর প্রতিবেদন অনুযায়ী, আরাগচি বলেন, "আমরা অতীতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে গিয়েছি, কিন্তু তারা আমাদের ওপর ইসরায়েলের হামলার পথ প্রশস্ত করেছে।"
তার ভাষায়, সাম্প্রতিক আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র ইরানের সার্বভৌম অধিকার উপেক্ষা করেছে এবং একপর্যায়ে যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি করেছে। এছাড়া, ইসরায়েলকে হামলার জন্য উসকানি দেওয়ার অভিযোগও আনেন তিনি।
আরাগচি আরও বলেন, "তাদের পক্ষ থেকে দেওয়া কূটনৈতিক প্রতিশ্রুতিগুলো মানা হয়নি। এটি ভবিষ্যতের সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলবে। তবুও আমরা কূটনৈতিক সংলাপের পথ পুরোপুরি বন্ধ করছি না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে।"
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, ইরানের সঙ্গে আলোচনা হতে পারে। এই প্রসঙ্গে ইরানি পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাফ জানিয়ে দেন, "আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বৈঠকের আয়োজন করা হয়নি। তাদের বক্তব্যে এক ধরনের অসংগতি রয়েছে।"
উল্লেখ্য, ১৩ জুন ইসরায়েল ইরানের বিভিন্ন সামরিক ও পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালালে টানা ১২ দিন সংঘর্ষ চলে। এতে ইরানের সরকারি তথ্য অনুযায়ী, ৬০০’র বেশি মানুষ প্রাণ হারায় এবং কয়েক হাজার আহত হন।
উত্তরে ইরানও ইসরায়েলে ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা চালায়। হিব্রু বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্য অনুযায়ী, এতে ইসরায়েলে ২৯ জন নিহত ও ৩,৪০০ জনের বেশি আহত হন।
এই উত্তেজনার প্রেক্ষিতে ২৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় একটি যুদ্ধবিরতির চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। তবে দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা এখনও অব্যাহত রয়েছে এবং কূটনৈতিক অগ্রগতি অনিশ্চিত রয়ে গেছে।
-এমএসকে