ছবি : সংগৃহীত।
বিজ্ঞাপন
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর গাজার নিয়ন্ত্রণকারী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস ইসরায়েলের ভূখণ্ডে প্রবেশ করে অতর্কিত হামলা চালায়। সেই হামলায় প্রাণ হারান প্রায় ১ হাজার ২০০ জন ইসরায়েলি নাগরিক এবং ২৫১ জনকে জিম্মি করে গাজায় নিয়ে যায় হামাস যোদ্ধারা।
হামলার জবাবে একই দিন থেকে গাজায় সামরিক অভিযান শুরু করে ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে, ওই অভিযানের পর থেকে এ পর্যন্ত গাজায় মোট নিহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ৫৬ হাজার ৩৩১ জনে। আহতের সংখ্যা ছাড়িয়েছে ১ লাখ ৩২ হাজার ৬৩২।
দীর্ঘ ১৫ মাসব্যাপী অভিযান এবং আন্তর্জাতিক চাপের মুখে ইসরায়েল গত ১৯ জানুয়ারি গাজায় সাময়িক যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে। কিন্তু ওই বিরতি দুই মাস পূর্ণ হওয়ার আগেই, গত ১৮ মার্চ থেকে আবারও নতুন করে সামরিক অভিযান শুরু করে আইডিএফ। দ্বিতীয় দফার এই অভিযানে ইতোমধ্যেই নিহত হয়েছেন আরও ৬ হাজার ৮ জন এবং আহত হয়েছেন ২০ হাজার ৫৯১ জন।
এদিকে ধারণা করা হচ্ছে, হামাসের হাতে জিম্মি থাকা ব্যক্তিদের মধ্যে এখনও অন্তত ৩৫ জন জীবিত রয়েছেন। ইসরায়েল জানিয়েছে, সামরিক অভিযান চালিয়েই তাদের উদ্ধারের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
গাজায় টানা মানবিক বিপর্যয় সৃষ্টি হওয়ায় জাতিসংঘ ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংস্থা ইসরায়েলের প্রতি সামরিক অভিযান বন্ধের আহ্বান জানিয়েছে। জাতিসংঘের শীর্ষ আদালত ইন্টারন্যাশনাল কোর্ট অব জাস্টিসে ইতোমধ্যেই ইসরায়েলের বিরুদ্ধে গণহত্যার অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তবে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু স্পষ্ট করে দিয়েছেন, হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূল না করা পর্যন্ত এবং জিম্মিদের উদ্ধারে সফল না হওয়া পর্যন্ত অভিযান বন্ধ হবে না। নেতানিয়াহুর ভাষায়, “এই যুদ্ধ আমাদের অস্তিত্বের লড়াই।”
সাম্প্রতিক সময়ে যুক্তরাষ্ট্র নতুন করে দুই মাসের যুদ্ধবিরতির একটি প্রস্তাব দিয়েছে। তবে এখনও পর্যন্ত ইসরায়েল কিংবা হামাস – কোনো পক্ষই সে প্রস্তাবে চূড়ান্ত সম্মতি দেয়নি।