আল-ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত সভায় বক্তব্য দেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার। ছবি : সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
তিনি বলেছেন, “দেশের আলেম-ওলামারা অবশেষে অনুধাবন করেছেন, আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে ইসলামি শক্তির মধ্যে একটি দৃঢ় নির্বাচনী ঐক্য থাকা আবশ্যক। এই লক্ষ্যেই তারা সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন।”
শুক্রবার (২৭ জুন) রাজধানীর মগবাজারে আল-ফালাহ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সভায় এসব কথা বলেন জামায়াতের এই শীর্ষ নেতা। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত এ সভায় তিনি দেশের রাজনীতি ও ইসলামি আন্দোলনের ভবিষ্যৎ দিকনির্দেশনা তুলে ধরেন।
গোলাম পরওয়ার বলেন, “আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, ইসলামি দলগুলোর মধ্যে অচিরেই একটি বাস্তবসম্মত সমঝোতা হতে যাচ্ছে। এসব ইসলামি শক্তির ধারাকে অক্ষুণ্ন রেখে যারা নতুন বাংলাদেশ দেখে যেতে পারেননি, তাদের স্বপ্ন পূরণের জন্য নির্বাচনে বিজয়ী হওয়াই হবে সেই ঋণ পরিশোধের একমাত্র উপায়।”
তিনি আরও বলেন, “জামায়াতের ভিশন হলো জনমতকে ইসলামের অনুকূলে আনয়ন করে দেশ পরিচালনার জন্য উপযুক্ত নেতৃত্ব তৈরি করা। এই প্রচেষ্টাই দ্বীনের বিজয়ের পথ রচনা করবে, মহান আল্লাহ সন্তুষ্ট হবেন এবং আমাদের জান্নাতের অধিকারী করবেন।”
জামায়াত নেতা বলেন, “এত বড় একটি পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে নতুন একটি মানবিক বাংলাদেশ গঠনের যে স্বপ্ন মানুষ ধারণ করছে, সেটি বাস্তবায়নের দায়িত্ব জামায়াতকেই নিতে হবে।” তিনি জানান, দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান জাতীয় ঐক্যের আহ্বান জানিয়েছেন। তাঁর ভাষায়— “আসুন, আমরা সবাই মিলে একটি সুখী-সমৃদ্ধ, শান্তি-স্বস্তির ও বৈষম্যহীন মানবমুক্তির রাষ্ট্র গড়ে তুলি।”
গোলাম পরওয়ার বলেন, “স্বাধীনতার ৫৪ বছর পর আজ দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের সুযোগ তৈরি হয়েছে। এই সুযোগের পূর্ণ সদ্ব্যবহার করতে হলে প্রয়োজনীয় রাজনৈতিক সংস্কার এবং ফ্যাসিস্ট শাসনের বিচার দৃশ্যমান করতে হবে।”
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য আবদুর রব। সঞ্চালনার দায়িত্বে ছিলেন সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা আবদুল হালিম।
এছাড়া শিক্ষাশিবিরের বিষয়ভিত্তিক আলোচনায় অংশ নেন— জামায়াতে ইসলামীর কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এটিএম আজহারুল ইসলাম, সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন, কেন্দ্রীয় কর্মপরিষদ সদস্য ড. খলিলুর রহমান মাদানী, ড. অধ্যাপক আবদুস সামাদ প্রমুখ।
আলোচকরা দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট, ইসলামি আন্দোলনের ভবিষ্যৎ এবং নির্বাচনে সক্রিয় অংশগ্রহণের গুরুত্ব তুলে ধরেন।