বিজ্ঞাপন
একই সঙ্গে তিনি জানান, হামলায় প্রথম টার্গেট করা হয় ‘পুলিশ ১১০’ ভবনকে, যা ইরানের কেন্দ্রীয় জরুরি কল সেন্টার হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
ইরান ইন্টারন্যাশনাল টেলিভিশনের লাইভ প্রতিবেদনে শনিবার (২৮ মে) এই তথ্য সম্প্রচার করা হয়। এস্কান্দার মোমেনি আরও জানান, তেহরানের কুখ্যাত এভিন কারাগারেও ইসরায়েলি হামলা চালানো হয়। বন্দিদের পালানো রোধে ও সম্ভাব্য অরাজকতা দমন করতে প্রশাসন দ্রুত পদক্ষেপ নিয়েছে। তিনি বলেন, "বিপ্লব-বিরোধীদের প্রবেশ ঠেকাতে সীমান্ত ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।"
এদিকে ইরানের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এক বিবৃতিতে জানান, ইসরায়েলের সঙ্গে টানা ১২ দিনের সংঘাতে এখন পর্যন্ত ৬১০ জন ইরানি নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন আরও প্রায় ৪ হাজার ৭০০ জন।
মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়, সংঘাতের শেষ রাতেই ইসরায়েলি বাহিনী একযোগে চালানো আক্রমণে শতাধিক ইরানিকে হত্যা করে। নিহতদের মধ্যে রয়েছে ৪৯ জন নারী, যাদের মধ্যে দুইজন ছিলেন অন্তঃসত্ত্বা। শিশু নিহতের সংখ্যাও কম নয়—যুদ্ধে প্রাণ হারিয়েছে অন্তত ১৩ শিশু, এর মধ্যে মাত্র দুই মাস বয়সী একটি শিশুও রয়েছে।
ইসরায়েলের এই সশস্ত্র অভিযানে ইরানের নিরাপত্তা, মানবাধিকার ও সাধারণ জনগণের জীবনযাত্রায় যে ভয়াবহ আঘাত এসেছে, তা আন্তর্জাতিক মহলে নতুন করে উদ্বেগ তৈরি করেছে। এখন পর্যন্ত দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়নি।