ছবি: সংগৃহীত
বিজ্ঞাপন
বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য যে, এই হামলাটি ইরান ও ইসরায়েলের মধ্যে সাম্প্রতিক যুদ্ধবিরতির ঠিক পরেই সংঘটিত হলো—যা মধ্যপ্রাচ্যে শান্তির সম্ভাবনাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে।
হুথি গোষ্ঠী এক বিবৃতিতে দাবি করেছে, এই হামলা তারা ফিলিস্তিনিদের প্রতি সংহতি প্রকাশের অংশ হিসেবে চালিয়েছে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা বাহিনী (IDF) জানিয়েছে, ইয়েমেন থেকে ছোড়া একটি ক্ষেপণাস্ত্র আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার মাধ্যমে "সম্ভবত সফলভাবে" প্রতিহত করা হয়েছে। তবে ক্ষেপণাস্ত্রটি সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে নির্দিষ্ট কিছু জানায়নি তারা।
ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়ার সময় দক্ষিণ ইসরায়েলসহ মধ্যাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় সতর্কতা সাইরেন বাজতে শুরু করে। এতে সাধারণ জনগণের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সামরিক বিশ্লেষকরা বলছেন, আইডিএফ-এর এই 'সম্ভবত' শব্দ ব্যবহার ব্যতিক্রমী ও তাৎপর্যপূর্ণ। সাধারণত তারা নিশ্চিত তথ্য দিয়ে থাকে। ফলে বিষয়টি কূটনৈতিক এবং সামরিক মহলে প্রশ্নের সৃষ্টি করেছে।
যদিও ইরান-ইসরায়েল সরাসরি সংঘর্ষে কিছুটা বিরতি এসেছে, তবে ইয়েমেন, লেবানন এবং সিরিয়ায় ইরান-ঘনিষ্ঠ গোষ্ঠীগুলোর হামলা পরিস্থিতিকে নতুন করে জটিল করে তুলছে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, হুথিদের এই হামলা ইরানের সরাসরি নির্দেশে না হলেও, আঞ্চলিক প্রক্সি কৌশলের অংশ হিসেবেই দেখা যাচ্ছে।
ইসরায়েল ইতোমধ্যেই দক্ষিণাঞ্চল এবং লোহিত সাগরের উপকূলীয় এলাকায় সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি করেছে। নাগরিকদের নিরাপদ আশ্রয়কেন্দ্রের কাছে থাকতে বলা হয়েছে।
মধ্যপ্রাচ্যের ক্রমাগত অস্থির পরিস্থিতিতে হুথিদের এই ধরনের ধারাবাহিক হামলা ইসরায়েলের জন্য নতুন নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখা দিচ্ছে বলে বিশ্লেষকরা মনে করছেন।
-এমএসকে