বিজ্ঞাপন
ফলে বাসটির বাহ্যিক সৌন্দর্য ও যান্ত্রিক সক্ষমতা কমে যাচ্ছে, যা নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
জুলাই বিপ্লব-পরবর্তী সময় শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরিশাল ক্যাম্পাসে একটি বাস সরবরাহ করলেও তার রক্ষণাবেক্ষণের জন্য এখনো কোনো গ্যারেজ বা ছাউনির ব্যবস্থা করা হয়নি। রোদ, বৃষ্টি ও ধুলাবালির প্রভাবে বাসের রং, কাচ, রাবার ও অন্যান্য যন্ত্রাংশে নানান ক্ষয়ক্ষতি দেখা দিচ্ছে।
ডিভিএম ২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী সাইমুন হাসান বলেন, "বাসের জন্যে কোনো প্রকার সেড না থাকায় ঝড়-বৃষ্টিতে বাসটি নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। রঙ উঠে যাচ্ছে, কাচে ফাঁটল ধরছে। এত মূল্যবান একটি সম্পদ অল্প বিনিয়োগের অভাবে নষ্ট হচ্ছে। আমরা দ্রুত গ্যারেজ নির্মাণের দাবি জানাই।"
বাসের চালক মো. শামীম হোসেন বলেন, "রোদ-বৃষ্টিতে বাসের রং নষ্ট হচ্ছে, সামনের গ্লাসের রাবার চেপে গিয়ে গ্লাস ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। পার্কিংয়ের জায়গা না থাকায় এই সমস্যা হচ্ছে। গ্যারেজ থাকলে এসব ক্ষতি রোধ করা সম্ভব হতো।"
এ বিষয়ে পরিবহন দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী অধ্যাপক আনোয়ার জাহিদ জানান, "বাসের জন্য গ্যারেজ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। টেন্ডার প্রক্রিয়া শেষ হয়েছে। টিচার্স কোয়ার্টারের পাশের একটি ফাঁকা জায়গায় গ্যারেজ নির্মাণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। চলতি মাসের শেষেই ঠিকাদার এসে জায়গা বুঝে নেবে এবং দ্রুত কাজ শুরু হবে।"
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন বলেন, "এসব অবকাঠামোগত উন্নয়নের জন্য ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট প্রপোজাল (ডিপিপি) পাঠাতে হয়। আমাদের ভাইস চ্যান্সেলর স্যার বরিশাল ক্যাম্পাসের উন্নয়নের ওপর বিশেষ গুরুত্ব দিচ্ছেন। ধাপে ধাপে সমস্যাগুলো সমাধান করা হবে।"
শিক্ষার্থীরা আশা করছে, প্রশাসনের এই আশ্বাস বাস্তব রূপ পেলে বাসটির সঠিক সংরক্ষণ নিশ্চিত হবে এবং তাদের যাতায়াত ব্যবস্থায় স্থায়ী সমাধান আসবে।
-বরিশাল প্রতিনিধি