বিজ্ঞাপন
বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. মো. ইকতিয়ার উদ্দিন স্বাক্ষরিত ১৯ জুন, ২০২৫ তারিখের এক অফিস আদেশ থেকে।
ওই আদেশে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের চাকরি সংক্রান্ত তদন্ত কমিটির সুপারিশ পর্যালোচনার পর ৩০ এপ্রিল অনুষ্ঠিত রিজেন্ট বোর্ডের ৫৫তম সভায় সর্বসম্মতভাবে এই সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, অবনমনকালীন তিন বছর ড. আহাদ বিশ্বাস কোনো ক্লাস নিতে পারবেন না, কোনো শিক্ষার্থীকে গবেষণায় তত্ত্বাবধান করতে পারবেন না এবং পরীক্ষার দায়িত্বেও অংশ নিতে পারবেন না। এছাড়া, এই সময়ে তিনি যদি পুনরায় অসৌজন্যমূলক আচরণে লিপ্ত হন বা পূর্বের অভিযোগের পুনরাবৃত্তি ঘটান, তাহলে উপাচার্য কারণ দর্শানো ছাড়াই তাকে চাকরিচ্যুত করতে পারবেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে কোনো আপিলের সুযোগ রাখা হয়নি।
তবে তিন বছর পর নির্ধারিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে তিনি পূর্বের পদ এবং স্কেলে পশু বিজ্ঞান বিভাগে যোগ দিতে পারবেন। উল্লেখযোগ্য যে, এই তিন বছরের অবনমনকাল তার সক্রিয় চাকরিকাল হিসেবে গণ্য হবে না।
২০২৩ সালের ১২ ডিসেম্বর, পবিপ্রবির পরিবেশ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অনুষদের ২০১৮-১৯ সেশনের এক নারী শিক্ষার্থী অধ্যাপক আহাদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে মানসিক নিপীড়ন ও একাধিকবার যৌন হেনস্তার অভিযোগ করেন। অভিযোগে বলা হয়, দীর্ঘদিন ধরে ওই শিক্ষক তাকে অপমানজনক ভাষা ও আচরণের মাধ্যমে হয়রানি করে আসছিলেন। অভিযোগ পাওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে তাৎক্ষণিকভাবে ক্লাস, পরীক্ষা ও শিক্ষাক্রম থেকে অব্যাহতি দেয় এবং সাময়িক বরখাস্ত করে।
এছাড়াও ড. আহাদ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে পরীক্ষায় শিক্ষার্থীদের নম্বর আটকে রাখা, অনৈতিকভাবে নম্বর কেটে দেওয়া এবং টানা কয়েক ঘণ্টা ধরে অনলাইন ক্লাস নেওয়ার অভিযোগও ওঠে। এসব অভিযোগ ২০২৩ সালের ১৮ নভেম্বর, ২০১৮-১৯ সেশনের শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে লিখিতভাবে রেজিস্ট্রারের কাছে জমা দেওয়া হয়।
তবে এ বিষয়ে ড. আহাদ বিশ্বাসের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তার কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি।
প্রতিবেদক -মেহেদি হাসান