Logo Logo
বিশ্ব

ইরানে আইএইএ প্রধানের প্রবেশ নিষিদ্ধ, পরমাণু নজরদারিতেও কড়াকড়ি


Splash Image

জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ) এর মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রসি।

জাতিসংঘের পরমাণু পর্যবেক্ষণ সংস্থা ইন্টারন্যাশনাল অ্যাটমিক এনার্জি এজেন্সি (আইএইএ)-এর সঙ্গে উত্তেজনা চরমে পৌঁছেছে ইরানের। সংস্থাটির মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসির ইরানে প্রবেশ নিষিদ্ধ করার ঘোষণা দিয়েছেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি।


বিজ্ঞাপন


একই সঙ্গে পরমাণু স্থাপনাগুলোতে আইএইএ’র নজরদারি ক্যামেরা বসানোর বিষয়েও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

রোববার (২৯ জুন) তুরস্কভিত্তিক বার্তাসংস্থা আনাদোলু ও ইরানের সরকারি সংবাদমাধ্যম আইআরএনএ এই তথ্য নিশ্চিত করেছে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরাগচি বলেন, “আমরা আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থাকে (আইএইএ) আমাদের পারমাণবিক কেন্দ্রে কোনো ক্যামেরা বসাতে দেব না। সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল গ্রোসির ইরানে প্রবেশও নিষিদ্ধ থাকবে।”

এই সিদ্ধান্ত এমন এক সময়ে এলো, যখন ইরান ও আইএইএ-এর মধ্যকার সম্পর্ক চরম টানাপড়েনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। ইসরায়েল ও যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক হামলার প্রেক্ষিতে ইরান তার পরমাণু কর্মসূচির বিষয়ে নজরদারি ও স্বচ্ছতার প্রশ্নে কঠোর অবস্থান নিয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি শুধু আন্তর্জাতিক কূটনীতির ক্ষেত্রে নয়, পরমাণু নিরস্ত্রীকরণ উদ্যোগের জন্যও এক বড় ধাক্কা।

এর আগে, ইরানের পার্লামেন্ট এক আইন পাস করে, যার আওতায় আইএইএ-এর সঙ্গে সব ধরনের সহযোগিতা স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই আইন কার্যকর হওয়ার ফলে দেশটির পরমাণু স্থাপনাগুলোতে আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষণের সুযোগ পুরোপুরি বন্ধ হয়ে যায়।

বস্তুত, ১৩ জুন থেকে শুরু হওয়া টানা ১২ দিনের রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষই এই কূটনৈতিক দূরত্বের মূল প্রেক্ষাপট। ওই দিন ইসরায়েল একযোগে ইরানের সামরিক, পারমাণবিক ও বেসামরিক স্থাপনাগুলোর ওপর বিমান হামলা চালায়। ইরানের স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়ের তথ্যানুসারে, এতে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ৬০৬ জন নিহত এবং ৫ হাজার ৩৩২ জন আহত হয়েছেন।

প্রতিবাদে ইরানও পাল্টা হামলা চালায়। তেহরান থেকে নিক্ষিপ্ত মিসাইল ও ড্রোন আঘাত হানে ইসরায়েলের বিভিন্ন স্থাপনায়। হিব্রু ইউনিভার্সিটি অব জেরুজালেম জানায়, ইরানে চালানো হামলার জবাবে ইসরায়েলের অন্তত ২৯ জন নিহত এবং আরও ৩ হাজার ৪০০ জন আহত হয়েছে।

চরম উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে শেষ পর্যন্ত ২৪ জুন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় উভয় দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়। যদিও ওই যুদ্ধবিরতির পরও দুই দেশের মধ্যে পারমাণবিক কর্মসূচি ও নিরাপত্তা বিষয়ে মতপার্থক্য দৃঢ়ভাবে টিকে আছে।

বিশ্লেষকদের মতে, আইএইএ প্রধানের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা এবং ক্যামেরা বসাতে না দেওয়ার সিদ্ধান্ত শুধুমাত্র ইরানের অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তার বিষয় নয়, বরং এটি আন্তর্জাতিক পরমাণু চুক্তি ও পর্যবেক্ষণ ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ জানায়। একইসঙ্গে এই সিদ্ধান্ত পরমাণু ইস্যুতে পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ভবিষ্যৎ আলোচনার পথকেও সংকীর্ণ করে তুলতে পারে।

এ বিষয়ে এখনো আইএইএ-এর পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।

আরও পড়ুন

জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলন
জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলন
নড়াইলে জেলা বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ
নড়াইলে জেলা বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ