Logo Logo
বিশ্ব

ভারতের সঙ্গে উত্তেজনার মাঝেই কাঁপলো পাকিস্তান, হিন্দুকুশে ৫.৩ মাত্রার ভূমিকম্প


ভোরের বাণী

Splash Image


বিজ্ঞাপন


পাকিস্তানে ভারত-বিরোধী উত্তেজনার মধ্যেই ভয়ংকর এক ভূমিকম্প কাঁপিয়ে দিল উত্তরের হিন্দুকুশ পার্বত্য অঞ্চল। স্থানীয় সময় শনিবার সকাল ১০টা ৮ মিনিটে ৫.৩ মাত্রার এই ভূকম্পনটি অনুভূত হয় রাজধানী ইসলামাবাদসহ খাইবার পাখতুনখোয়া রাজ্যের বিস্তীর্ণ এলাকায়।

পাকিস্তান মেটারোলজিক্যাল ডিপার্টমেন্ট (PMD) জানায়, ভূমিকম্পটির কেন্দ্র ছিল ভূপৃষ্ঠের প্রায় ২৩০ কিলোমিটার গভীরে, হিন্দুকুশ পার্বত্য অঞ্চলে। এই গভীরতার কারণে কম্পনের ব্যাপ্তি ছিল প্রশস্ত হলেও, ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ছিল তুলনামূলকভাবে কম।

ভূকম্পন সবচেয়ে তীব্রভাবে অনুভূত হয়েছে ইসলামাবাদ, পেশোয়ার, মারদান, নওশেরা, সোয়াবি, আটক ও উত্তর ওয়াজিরিস্তানসহ আশপাশের জেলাগুলোতে। আতঙ্কে অনেক মানুষ বাড়িঘর ছেড়ে রাস্তায় নেমে আসে। তবে এখন পর্যন্ত কোনো প্রাণহানি বা ক্ষয়ক্ষতির তথ্য নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।

ভূতাত্ত্বিক দৃষ্টিকোণ থেকে পাকিস্তান অত্যন্ত ভূমিকম্প-প্রবণ একটি দেশ। দেশটি ভারতীয় ও ইউরেশীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত, ফলে দুটি প্লেটের সামান্য নড়াচড়াতেই এখানে বড় ধরনের ভূমিকম্প হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, ভূগর্ভের গভীরে উৎপন্ন ভূমিকম্পগুলো কম্পনের মাত্রা কম অনুভূত হলেও বিস্তীর্ণ এলাকায় ছড়িয়ে পড়ে।

উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে একই হিন্দুকুশ অঞ্চলে ৭.৫ মাত্রার একটি ভয়াবহ ভূমিকম্পে পাকিস্তান ও আফগানিস্তানে প্রায় ৪০০ জন প্রাণ হারান। ফলে দেশটির জনগণের মধ্যে এমন কোনো কম্পন অনুভূত হলেই আতঙ্ক বিরাজ করে।

এদিকে ভূমিকম্পের সময় ভারতের সঙ্গে সীমান্ত উত্তেজনাও তুঙ্গে। সাম্প্রতিক সময়ের পারস্পরিক রাজনৈতিক উত্তেজনা, সামরিক তৎপরতা এবং অভ্যন্তরীণ অস্থিরতার মধ্যে এমন প্রাকৃতিক দুর্যোগ আরও আতঙ্ক ছড়িয়েছে সাধারণ মানুষের মধ্যে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, ভূমিকম্পের এই ধরণ এবং উৎপত্তিস্থলের অবস্থান আগাম সতর্কতা জারি করা কঠিন করে তোলে। তবে তারা সাধারণ মানুষকে সচেতন থাকতে এবং জরুরি প্রস্তুতি রাখার পরামর্শ দিয়েছেন।

আরও পড়ুন

জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলন
জবির উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের প্রথম পুনর্মিলন
নড়াইলে জেলা বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ
নড়াইলে জেলা বিএনপির মৌন মিছিল ও সমাবেশ